Sunday 20 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাতারের সঙ্গে সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক

স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট
২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩৬ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৩

ঢাকা: কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি, উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দুই দেশের মধ্যকার দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি সংক্রান্ত চুক্তি, যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া অন্তত পাঁচটি সমঝোতা স্মারকও সই হবে। এগুলো হলো- শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

রোববার (২১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বলেন, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ কাতার। শক্তিশালী অর্থনীতি, ভূরাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক তৎপরতা ও মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসেবে বিবেচিত। কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, যেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিলের অধিকারী কাতার বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসেবে বিবেচিত। কাতার বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ও কাতারের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী। কাতার বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া অন্যতম রাষ্ট্র।

তিনি বলেন, গত বছরের মার্চ ও মে মাসে দুইবার কাতার সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের সময় উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে উপনীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মহামহীম আমির বাংলাদেশ সফর করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিককালে কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি, বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে।

কাতারের মহামহিম আমিরের এই সফর বাংলাদেশ এবং কাতারের দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আগামীকাল সোমবার ঢাকা পৌছাবেন কাতারের আমির। পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।

সারাবাংলা/আইই

কাতারের আমির

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর