মালয়েশিয়ায় ৫ হাজার কর্মী সমস্যায় রয়েছে: প্রবাসী কল্যাণ সচিব
২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৮
ঢাকা: বৈধ উপায়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ৫ হাজার কর্মী সমস্যায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো. রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘দেশটিতে ২০২২ সালের পর বৈধ পদ্ধতিতে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৫ হাজারের মতো বেকার আছে বা সমস্যায় আছে। সমস্যায় থাকা অন্যরা ভিজিট ভিসায় গিয়েছে এবং কিছু কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা এই সমস্যায় পড়েছেন।’
রোববার (২১ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিটের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান তিনি।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে মে মাসের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের জন্য দূতাবাসের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার নতুন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ৩১ মের মধ্যে আগের কোটা অনুসারে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নেবে। এরপর আগের ব্যবস্থাটা তারা পর্যালোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির জন্য কাজ করবে। আমাদের তরফ থেকে মন্ত্রী মহোদয় সবসময় যোগাযোগ রেখেছেন। মালয়েশিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে এরইমধ্যে তাদের চিঠি পাঠিয়েছি। কারণ তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা বোঝা দরকার, সে অনুসারে আমাদের কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়া যে কোটা নিয়ে কাজ করছে, এরপর তাদের পরবর্তী যে কোটা তৈরি হবে, সেখানে আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। তারাও এজেন্ডা ঠিক করছেন, আমরাও এজেন্ডা ঠিক করতে হাত দিয়েছি। আমরা নিয়মিত দূতাবাসের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা মে মাসের মধ্যেই মালয়েশীয় সরকারের সঙ্গে বসতে চাই।’
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমি এ মন্ত্রণালয়ে আসার পর সবসময় মালয়েশিয়ার সঙ্গে কথা বলছিলাম। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কর্মীদের অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আমি মনে করি, সেখানে দুটো গ্রুপ আছে। একটা চাহিদার বিপরীতে যাচ্ছে তারা একটা গ্রুপ, আরেকটা হচ্ছে যারা ভিজিট ভিসায় গিয়েছেন কিংবা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে অবস্থান করছেন। কখনও এই সংখ্যাটা বড়ো কিংবা ছোটো। যেমন সর্বশেষ যে প্রতিবেদন নিয়েছি, সেখানে যারা চাহিদার বিপরীতে গিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার লোকের কাজ হয়েছে এটা সেখানে কাজে যাওয়া মোট কর্মীর মাত্র এক শতাংশ হবে। ভিজিট ভিসায় যারা গেছেন, তাদের হিসেবে নিলে সংখ্যাটা একটু বড়ো হবে। তবে চাহিদার বিপরীতে যে লোকগুলো মালয়েশিয়ায় গেছেন, তাদের মধ্যে যাদের কাজ নেই, আশা করছি, ৩১ মের পরেই তাদের পুনর্বণ্টন করা হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও