তাপপ্রবাহে বিদ্যুতের চাহিদা ছাড়াতে পারে ১৭০০০ মেগাওয়াট
২২ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৩৬
ঢাকা: গত দুই দিন ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি সর্বত্র। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঠেকেছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এই চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, গত ১৪ এপ্রিল দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। কিন্তু সপ্তাহ ব্যবধানে রোববার (২১ এপ্রিল) বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এই চাহিদার পরিমাণ গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সুত্র অনুযায়ী, গত ১৫ এপ্রিল চাহিদা ছিল ১৪ হাজার মেগাওয়াট, এর বিপরীতে উৎপাদন হয় ১৫ হাজার ৫৪৩ মেগাওয়াট। আর ১৬ এপ্রিল বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫ হাজার মেগাওয়াট, উৎপাদন হয় ১৫ হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট। ১৭ এপ্রিল চাহিদা কিছুটা কমে ১৪ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে নেমে আসে। ওই দিন উৎপাদন হয় ১৬ হাজার ৪১১ মেগাওয়াট। ১৮ এপ্রিল বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৮১ মেগাওয়াট।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিদ্যুতের চাহিদা ফের বেড়ে যায়। এদিন ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎতের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ১৫ হাজার ৩৫৮ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদনের ফলে ১৪২ মেগাওয়াট লোডশেডিং দিতে হয় বলে জানিয়েছে পিডিবি। তীব্র গরমে এই চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে। এই চাহিদা পূরণ করে আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছি।
এদিকে, বিদ্যুতের এই ঘাটতির কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামে কোথাও কোথাও দিনে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম