চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের বর্ষপূর্তিতে বিশিষ্টজনদের মিলনমেলা
২১ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৪৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাকালে প্রতিষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে’র বর্ষপূর্তির আয়োজনে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশিষ্টজন ও শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী। করোনার দুঃসময়ে বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রথম এ হাসপাতাল মানুষের মনে সাহসের সঞ্চার করেছিল বলে মত দিয়েছেন তারা।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল খান, নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. বাসনা রাণী মুহুরি, প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাহেদ উদ্দীন আহমেদসহ অনেকেই এ আয়োজনে ছিলেন। চট্টগ্রামের ৫০টিরও বেশি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক করোনাকালের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, ‘ভয়াল একটা সময় পার করেছে পৃথিবী। যে পৃথিবীতে অতি আপনজনেরাও হাত ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেখানে ফিল্ড হাসপাতালের দুঃসাহসী উদ্যোগ মানুষকে বাঁচার আশা জাগিয়েছিল। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মাঝেই যে মানবজন্মের সার্থকতা, তা করোনাকালে ফিল্ড হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রমাণ করেছে।’
মোহাম্মদ ইসমাইল খান বলেন, ‘ভয়াল সময়ে বিদ্যুৎ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা আমাদের আশাবাদী করেছিল। মানুষ সাহস পেয়েছিল।’
বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে। কিন্তু অঙ্গীকারনামায় নিজের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় স্বাক্ষর করে কাজ করার মতো স্বেচ্ছাসেবক আছেন কি না, আমার জানা নেই। তাদের জন্য এবং সব স্বেচ্ছাসেবকদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই আজকেই এই আয়োজন।’
চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সমাজের নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর বিশেষ ক্যাটাগরিতে শিল্প গ্রুপ বিএসআরএম, এলবিয়ন ও শাহেন শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি ট্রাস্ট এবং স্বেচ্ছাসেবী ক্যাটাগরিতে সিটিজি ব্লাড ব্যাংক, স্ন্যাক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ, সিক্ত বাংলাদেশ ও কুলগাঁও প্রত্যাশা ক্লাবকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর যখন চিকিৎসা নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছিল, তখন মাত্র ১৬ দিনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ৬০ শয্যার এই হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছিল। ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া নাভানা গ্রুপের সহায়তায় এবং একদল তরুণ-যুবকের স্বেচ্ছাশ্রমে হাসপাতালটি তৈরি করে ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল থেকে চালু করেছিলেন। সেখানে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন ডাক্তার-নার্সসহ অনেক তরুণ-যুবকরাই।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর