Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেই ২ শিশুর কারাবন্দি মা হাফসা আক্তারের জামিন স্থগিতই থাকবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩৫

ঢাকা: আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় কারাবন্দী হাফসা আক্তারের জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানি করতে বলেছেন আদালত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

৩ এপ্রিল হাফসা আক্তারের জামিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

আদালতে হাফসা আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেছিলেন, হাফসা আক্তারের দুই শিশু সন্তানের কল্যাণের কথা চিন্তা করে জামিন প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, হাফসা আক্তারের এক সন্তান নূরীর বয়স চার বছর। আরেক সন্তানের বয়স তার থেকে একটু বেশি। তাদের বাবাও পলাতক। শিশুদের দেখভাল করার কেউ নাই। এছাড়া যে মামলায় তিনি গ্রেফতার রয়েছেন সেটাতে পুলিশ চার, সাড়ে চার মাসেও চার্জশিট দেয়নি।

এর আগে, ত ৬ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কারাবন্দি হাফসা আক্তারকে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।

এর আগে হাফসা আক্তারের জামিন চাইতে হাইকোর্টে আসে মায়ের মুক্তির জন্য মানববন্ধন করে আলোচনায় আসা চার বছরের শিশু নুরজাহান নূরী। গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবীরা জানান, গত ২০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করে পুলিশ। মামলার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিফল হন হাফসা। এরপর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। এই মামলায় গ্রেফতারের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন হাফসা।

এর আগে গত বছরের ২৩ নভেম্বর পত্রিকায় ‘নূরীর কান্নার জবাব নাই’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কেউ এসেছেন কোলের শিশু নিয়ে, কেউ এসেছেন অবুঝ সন্তান নিয়ে, আবার কেউ নাতি-নাতনি নিয়ে। বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, ভাই-বোনরাও এসেছেন। তাদের কারও চোখে পানি, কারও হাতে প্ল্যাকার্ড, কারও হাতে ব্যানার। প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে স্বজনদের মুক্তি দাবি করেছেন তারা।

রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে দাদা-দাদির হাত ধরে আসে দুই অবুঝ শিশু বর্ষা ও নূরী। মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কারাবন্দি মায়ের জন্য মুক্তি দাবি করে এই দুই শিশুকন্যা। শিশু বর্ষা মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলে, আমার মাকে ছেড়ে দেন। আমার পরীক্ষা। আমি মাকে ছাড়া স্কুলে যেতে পারি না।

সেদিন তিন ছেলের গ্রেফতারের বর্ণনা দিয়ে বাবা আব্দুল হাই বলেন, আমার তিন সন্তানকে কারান্তরীণ করা হয়েছে। এক ছেলেকে ১০ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। বড় ছেলেকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে পুত্রবধূকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে পুলিশ। অথচ, আমার ছেলের বউ রাজনীতিতে জড়িত নন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

কারাবন্দী মা টপ নিউজ হাফসা আক্তার

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর