Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২২ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০১

চুয়াডাঙ্গা: দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। বৈশাখের শুরু থেকেই বাড়তে থাকা তাপমাত্রা গত কয়েকদিন আরও বেড়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সোমবার বেলা ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৫ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭১ শতাংশ।

আর্দ্রতা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গরমে অস্বস্তি বেশি লাগছে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

জামিনুর রহমান জানান, রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৯ শতাংশ। এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। বেলা ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২০ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৮ শতাংশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩২ শতাশ। এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ ও দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি,বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। সকাল ৯টা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৫ শতাংশ এবং দুপুর ১২ টায় রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৯ শতাংশ।

তিনি জানান, মাঝে একদিন বাদে চুয়াডাঙ্গায় ৫দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আওতায় রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ এবং দুপুর ১২টায় রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৭ শতাংশ। এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২২ শতাংশ এবং দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩১ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৭ শতাংশ। এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ এবং ওই দিন বেলা ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৩ শতাংশ।

বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

জেলায় দিনদিন তাপমাত্রার পারদ উপরের দিকে উঠছে। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। বাতাসে ‘আগুনের ফুলকি’ উড়ছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। জীবিকার তাগিদে এমন খরতাপের মধ্যেও ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে তাদের। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যরা কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা। প্রখর রোদে ফসলের ক্ষেত ফেটে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহে ক্ষেতের ফসল পুড়লেও সে সব তথ্য নেই কৃষি বিভাগের কাছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিননাথপুর গ্রামের হারিস মিয়া বলেন, এই তাপদাহে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কচু, পান, তরমুজ ও কাঁচা মরিচের। ঘনঘন সেচ দিয়েও কোনোভাবেই শুকিয়ে যাওয়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না। তাছাড়া সেচ খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপদিত পণ্য বিক্রি নিয়ে আমি শঙ্কিত। কারণ বেশি দামে এগুলো বিক্রি করতে হবে।

সদর উপজেলার হানুরবাড়াদী গ্রামের কৃষক দোয়াল্লিন বলেন, তাপপ্রবাহে শসা ক্ষেত সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, কচু গাছ রোদে পুড়ে যাচ্ছে, ভুট্টা ক্ষেতেরও একই অবস্থা। কলা গাছের কাঁদি পড়ে যাচ্ছে, তরমুজের ফল ঝরে যাচ্ছে। কোনোভাবেই ফসল ধ্বংস ঠেকানো যাচ্ছে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোন কোন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে তা জানতে উপজেলা পর্যায়ে কাজ চলছে। দু’এক দিনের মধ্যেই আমরা ফসলের ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারব।

সারাবাংলা/এনইউ

চুয়াডাঙ্গা টপ নিউজ তাপদাহ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর