রাঙ্গামাটি: বান্দরবানের রুমা ও থানচির তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির পর জেলাটিতে যৌথ অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে ‘গণগ্রেফতার ও হয়রানি’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউপিডিএফ সমর্থিত চার পাহাড়ি সংগঠনের নেতারা। বম জাতিগোষ্ঠীর সাধারণ মানুষদের হয়রানি বন্ধ করে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তারা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে ৩টায় রাঙ্গামাটির কুতুকছড়ি ধর্মঘর এলাকায় আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই প্রতিবাদ ও দাবি জানায় পাহাড়ি চার সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।
গত ২ এপ্রিল রাতে ও ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ও সরকারপক্ষ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) দায়ী করে আসছে। তবে কেএনএফ আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।
ওই ঘটনাগুলোর পর বান্দরবানে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। অভিযানে সাধারণ মানুষ গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে পাহাড়ের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন ইউপিডিএফ।

সমাবেশ থেকে বম জনগোষ্ঠীর সাধারণ নাগরিকদের গণগ্রেফতার ও হয়রানির অভিযোগ করেন বক্তারা। ছবি: সারাবাংলা
সোমবার বিকেলে রাঙ্গামাটির সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রাঙ্গামাটি জেলা সসভাপতি রিনা চাকমার সভাপতিত্বে ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সভাপতি তনুময় চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সভাপতি রিমি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়তন চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা আমরা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই। ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার পর যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ বম জাতিগোষ্ঠীকে গণগ্রেফতার ও হয়রানি-নির্যাতন করা হচ্ছে। বান্দরবানে নিরীহদের হয়রানি বন্ধ হোক। গ্রেফতারকৃত নিরীহ বমদের মুক্তি দেওয়া হোক।