এসআইইউয়ের ৩য় সমাবর্তনে স্মার্ট নাগরিক হয়ে ওঠার আহ্বান
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫৮
সিলেট: শিক্ষার্থীদের আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি মানবিক মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার আহবান জানানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এসআইইউ) তৃতীয় সমাবর্তন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ, লেখক ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমদ ও ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী, ট্রাস্টের চেয়ারপারসন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামীম আহমদ।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাবর্তন উৎসব শুরু হয়। পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র চন্দ।
সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে সন্ধিৎসু ও দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে মানসম্মত ধীমান শিক্ষার্থী সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষাগবেষণা, উদ্ভাবনসহ নানান নিরীক্ষাধর্মী কর্মযজ্ঞে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের মহাযজ্ঞে কৃতিত্বের ছাপ রাখবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।
সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, সমাবর্তন একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও তার শিক্ষার্থীর জীবনে প্রয়োজনীয় ও আনন্দময় দিন। বিশ্ববিদ্যালয় হবে ভিন্নমতের চারণক্ষেত্র। স্বাধীন চিন্তাবিকাশে ভিন্নমত পোষকতার বিকল্প নেই। পাশাপাশি গবেষণা একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করে। তাই আমাদের প্রধানতম কাজ হচ্ছে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান তৈরি করা।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেব। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন খালেদ হোসেন এবং আইন অনুষদের ডিন মাহমুদুল হাসান খান নিজ নিজ অনুষদের স্নাতকদের তালিকা উপস্থাপন করেন। এ সময় আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে স্নাতকদের পক্ষে বক্তব্য দেন পাপ্পু ভট্রাচার্য।
বহু কাঙ্ক্ষিত এ সমাবর্তনে ফল ২০০৯ থেকে স্প্রিং ২০২১ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিভাগের মোট ছয় হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী স্নাতক সনদ অর্জন করে। এ ছাড়াও চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান, ডিন ও স্পেশাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে ৩৪ জন শিক্ষার্থীর হাতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পদক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্যালেখ্য ‘বৈশাখের জয়ধ্বনি’ পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন নৃত্যশৈলী। এ ছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী তন্বী দেব ও প্রদীপ মল্লিক।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/টিআর
তৃতীয় সমাবর্তন’ প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী সমাবর্তন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি