‘প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় এমপিরাজ কায়েম হয়েছে’
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৪
ঢাকা: ‘প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় এমপিরাজ কায়েম হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ডামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী এখন আবার ডামি উপজেলা নির্বাচন করতে যাচ্ছে। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারাও সুযোগ পাচ্ছে না। মন্ত্রী-এমপিদের ভাই, শালা, ভাগিনা, ভায়রাদের কারণে জিম্মি স্থানীয় জনগণ। প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় এমপিরাজ কায়েম করেছে তারা। ডামি এমপির স্ত্রী, শ্যালক, ভাই দিয়ে কায়েম করা হচ্ছে এমপিরাজ।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা বারবার বলেছেন, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন না, কিন্তু গণবিরোধী প্রধানমন্ত্রী গণবিরোধী প্রজেক্ট করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে রূপপুরে, গলাচিপা, বাউফলে কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ঢাকার চারপাশের নদী দখল করে ভরাট করেছে। ক্ষমতাসীনদের সৃষ্ট পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে জিয়াউর রহমান রেশনিং ব্যবস্থা তুলে নিয়েছিলেন। আজকে দেশের অর্থনীতিকে লুটতরাজ করে ভঙ্গুর করে ফেলেছে। মুখে স্বয়ংসম্পূর্ণের কথা বলে আবার রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। তাও সাধারণ মানুষ এর আওতায় নয়, আওয়ামী গোষ্ঠী এই রেশনিং কার্ডও দলীয়করণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সময় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ হয় তখন রেশনিং লাগে। প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। আদা, রসুন পেয়াজ ডলারের দামে আমদানি করতে হচ্ছে। মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে পারছে না। আজকে সন্তান বিক্রি করে পেট চালাতে হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘ফরিদপুরে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে দুই হাজার কোটি টাকা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই নাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছে। এই আলাদীনের চেরাগ কই থেকে আসল। কানাডা, দুবাই, মালয়েশিয়া এত বাড়ি-ঘরের মালিক কীভাবে হলেন? ফাস্ট হোম, সেকেন্ড হোম যা করেন না কেন একসময় আজিমপুর কবরস্থানে যেতে হবে সেটি তারা ভুলে গেছেন।’
ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চেয়েছেন বিএনপির কর্মসূচির দিন কেন আপনারা পাল্টা কর্মসূচি দেন? তিনি বললেন, বিএনপিকে মানসিকভাবে বাধা দেওয়ার জন্য আমরা পাল্টা কর্মসূচি দেই। এতেই প্রমাণ হয় ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেন। উনি (ওবায়দুল কাদের) চাঁদাবাজ ও গুণ্ডাদের গডফাদার।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতি অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সম্পাদক আমিনুল হক, সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক মো. মোহন, হাজী মনির হোসেন, দফতর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/একে