সিংড়া উপজেলা নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪১
ঢাকা: নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচন স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার (২৮ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, শেখ আলী আহমদ খোকন, কুমার দেবুল দে, রিপন কুমার বড়ুয়া ও সুপ্রকাশ দত্ত অমিত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি সারাবাংলাকে বলেন, গতকাল (২৪ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলার নির্বাচন স্থগিত চেয়ে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি রিট দায়ের করা হয়। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। রিটে উপজেলা নির্বাচন স্থগিত এবং আসাদুজ্জামানের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে ইসির নিস্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আজ ওই রিটের শুনানি শেষ হয়েছে এবং আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে। নিজের শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবীব রুবেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতিয়ে আনতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ জন্য উপহার হিসেবে এক প্রার্থীকে দিয়েছেন কোটি টাকার পুকুর। অন্যদিকে আদেশ না মানায় তার শ্যালকের ঘনিষ্ঠদের হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরেক প্রার্থী।
উপজেলা পরিষদে প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে ৮ মে। এ ধাপেই হতে যাচ্ছে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার পর তাই নিয়ম অনুযায়ী গণসংযোগ শুরু করেন পাঁচ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। উপজেলাজুড়ে ছিল নির্বাচনি আমেজও। কিন্তু হঠাৎ থমকে যান তিন প্রার্থী। মাঠে টিকে থাকেন কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেল।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে নির্বাচনি মাঠে নেমেছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরান হাসান কামরুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু নিজের শ্যালককে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতাতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন না করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক। সে জন্য একজনকে পুকুর উপহার দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে বেঁকে বসেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল সোমবার তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করেছেন লুৎফুল হাবীবের ঘনিষ্ঠরা। এখন তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে