গরমে শীতল পরশ ছড়িয়ে দিচ্ছে ডিএনসিসির পানি
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০০:০৫
ঢাকা: টানা এক সপ্তাহ ধরে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোথাও মাঝারি, আবার কোথাও মৃদু তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। এদিকে, কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে রয়েছে। ঢাকার প্রতিটি সড়ক থেকে আসছে আগুনের হলকার মতো তাপ। যে কারণে চলাচল করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় নামছেন না। এমন অবস্থায় তাপ কমাতে প্রতিদিন সড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ডিএনসিসির গাড়ি দিয়ে পানি ছিটাতে দেখা গেছে। মিরপুর, শেওরাপাড়া, মাজার রোড, দারুচ্ছালাম, আগারগাঁও এলাকায় পানির ছিটিয়েছে ডিএনসিসি। এর আগের দিন বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ, ফার্মগেট, গণভবন, আসাদগেট এলাকায় পানি ছিটায় ডিএনসিসির কর্মীরা।
জানা যায়, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ছয় ঘণ্টা এই পানি ছিটানো হচ্ছে। পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজার। এতে দৈনিক প্রায় চার লাখ লিটার পানি ছিটানো যায়। এ ছাড়া, রাস্তা ভেজানোর জন্যও রয়েছে স্প্রিং লেয়ার সিস্টেম।
এতে নগরে বায়ু দূষণের মাত্রা কমছে এবং পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উল্লেখ করেছেন অনেকে। আবার অনেকেই পানি ছিটানোর ছবি পোস্ট করছেন। সাংবাদিক শাহানাহ শারমীন ফেসবুকে পানি ছিটানোর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘পুড়ছে মানুষ ও প্রকৃতি। তখনই হঠাৎ শীতলতার পরশ।’ সেখানে অনেকে কমেন্টে নিজ নিজ এলাকার নাম উল্লেখ করে লিখেছেন ওই সব এলাকায় পাঠানো সম্ভব কি না।
জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ছুটির দিনগুলোতেও পানি ছিটানো অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকবে। এ পরিস্থিতি আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম