শিক্ষক বরখাস্তের প্রতিবাদ
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২৩
ঢাকা: বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদকে বরখাস্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য বাবু রঞ্জিত কুমার সহা, সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, সহ সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন এবং দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসনসহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শহানা বেগম।
শিক্ষক সমিতির দাবি, ঢাকার যাত্রাবাড়ীর সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ম্যানেজিং কমিটির বরখাস্তের সিদ্ধান্তে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। গত বছরের ১৩ নভেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া গত বছরের ২৯ নভেম্বর চূড়ান্ত বরখাস্ত এবং চলতি বছরের ৪ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ড চূড়ান্ত বরখাস্ত অনুমোদন দেয়।
লিখিত বক্তব্যে মো. বজলুর রহমান বলেন, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ এসএসসি পরীক্ষা চলতি বছরের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ বিভাগে ২ হাজার ১৪০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২ হাজার ২০ টাকা বোর্ড নির্ধারিত জমা দেওয়া জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। তার স্বত্বেও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে বিজ্ঞান বিভাগে ৮ হাজার ১৪০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বোর্ড ৮ হাজার ২০ টাকা নেন।
আদায় করা ১৭ লাখ টাকা সভাপতি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। গত বছরে বিদ্যালয়ে অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানে কিছু সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সভাপতি পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র পরিবর্তন করে নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি প্রতিষ্ঠান প্রধান স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র দেওয়ার বিধান থাকা স্বত্ত্বেও সভাপতি নিজেই স্বাক্ষর করে নিয়োগপত্র দিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য প্রতিষ্ঠান ফরম বিক্রি নিষেধ থাকা স্বত্ত্বেও সভাপতির নির্দেশে কোনো প্রকার রশিদ ছাড়াই গত দুই বছর ধরে ভর্তি ফরম বিক্রি করেন। ফরম প্রতি ২০০ টাকা আদায় করে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে অনৈতিকভাবে সভাপতি নিজেই নিয়ে নিচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বজলুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষা বিভাগ ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু তাদের পক্ষে থেকে আমরা কোনো সাড়া পাইনি।
সারাবাংলা/জেজে/ইআ