কালুরঘাট সেতু নির্মাণে জুনে ঋণচুক্তির আভাস রেলের ডিজি’র
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুল আলোচিত কালুরঘাট সেতু নির্মাণের আগামী জুনে দাতাসংস্থার সঙ্গে ঋণচুক্তির আভাস দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর চট্টগ্রামের সিআরবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি একথা জানান।
ডিজি সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেতুর জন্য ১২ হাজার কোটি টাকার মত লাগবে। সরকারি তহবিল ৪ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা দেবে দাতা সংস্থা। কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক কথা দিয়েছে। তারা আগামী জুনে সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি করতে চায়।’
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর ওপর প্রায় ১০০ বছরের পুরনো বিদ্যমান কালুরঘাট রেলসেতু দিয়ে ট্রেনের পাশাপাশি যানবাহনও চলে। একমুখী সেতুর একপাশে গাড়ি উঠলে আরেকপাশ বন্ধ থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি চলছে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। গত নয়মাস ধরে সংস্কারের জন্য সেতুটি বন্ধ আছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে চালু হয়েছে ফেরি। এতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
১৯৯১ সাল থেকে প্রত্যেক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের বিষয়টি রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে প্রার্থীদের প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতিতে গুরুত্ব পেয়ে আসছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেতুর দাবি আরও জোরালো হয়। ২০১৪ সালে আন্দোলন শুরু করে ‘বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ’। দফায় দফায় প্রতিশ্রুতি, বিভিন্ন আশ্বাসের পরও সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া ঝুলে থাকে।
২০২২ সালের আগস্টে কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান সেতুর একটি নকশা তৈরি করে, যাতে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন নকশায় সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করা হয় সিঙ্গেল ডেকে অর্থাৎ চার লেইনের সেতুর একপাশে থাকবে ট্রেন আসা-যাওয়ার দু’টি পথ এবং অপর দু’টি পথ থাকবে গাড়ি আসা-যাওয়ার জন্য, যাতে ১২ হাজার কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়।
২০২৩ সালের মে মাসে তৎকালীন রেলসচিব চট্টগ্রামে এক সভায় জানান, ২০২৫ সাল নাগাদ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে, যা শেষ হবে ২০২৮ সালে।
সারাবাংলা/আরডি/এমও