ইবিতে ভর্তিচ্ছুদের পদে পদে ভোগান্তি
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩৩
কুষ্টিয়া: ভবনের নাম নেই। সিট প্লানের বোর্ড নেই। পর্যাপ্ত দিকনির্দেশক চিহ্ন নেই। চিনতে কষ্টসাধ্য কোন ভবনের কোন কক্ষে পরীক্ষা। যেন পদে পদে ভোগান্তিতে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ভর্তিচ্ছুরা।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) এমনই চিত্র দেখা গেছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার এই কেন্দ্রে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু, অভিভাবক, রোভার স্কাউট, বিএনসিসির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা জানান, এর আগে কোনো ভর্তি পরীক্ষায় এমনটি হয়নি। প্রতিটি ভবনে সিট প্লান সংবলিত বোর্ড থাকে। এছাড়া দিক নির্দেশক চিহ্নগুলো স্পষ্ট থাকা জরুরি।
এদিকে সিট প্লান উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক প্রতি ভবনের সামনে সিট প্লান দেওয়াটা অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ভবনের নাম না থাকার বিষয়টি না-কি তার দৃষ্টিগোচর হয়নি।
কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ছয়টি ভবনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভবনে নাম রয়েছে। তবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন ও মীর মোশাররফ হোসেন ভবনে যেদিকে শিক্ষার্থী প্রবেশ করছিল সেদিকে নাম লেখা নেই।
এছাড়া সব ভবনের নাম বাংলায়। তবে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে ছিল ইংরেজিতে। এ বিষয়টিও ভোগান্তির কারণ ছিল শিক্ষার্থীদের। এদিকে প্রধান ফটক সহ কয়েকটি যায়গায় সিট প্লানের বোর্ড থাকলেও ভবনগুলোর সামনে ছিল না। এতে নিজের সিটও খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের। এছাড়াও ক্যাম্পাস এলাকায় পর্যাপ্ত দিকনির্দেশক চিহ্ন দেওয়া হয়নি। কিছু চিহ্ন দেওয়া থাকলেও তা চোখের আড়ালেই পড়েছিল।
এ সময় কিছু পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, রাস্তাগুলোতে দিক নির্দেশক চিহ্ন দেওয়া নেই। এতে ভবনগুলো খুঁজে পেতে আমাদের কষ্ট হয়েছে। কিছু ভবনে কোনো নাম লেখা নেই। এছাড়াও আমাদের এডমিট কার্ডে কেন্দ্রের নাম ইংরেজিতে লেখা। কিন্তু ভবনগুলোতে নাম বাংলায় লেখা থাকায় আমার বিভ্রান্তিতে পড়েছি।
রোভার ও বিএনসিসি সদস্যরা জানান, শিক্ষার্থীদের কাছে প্রবেশপত্র থাকলেও আমাদের কাছে আলাদা সিট প্লান নেই। প্রতিবছর প্রতি ভবনের সামনে সিট প্লান সম্বলিত বোর্ড থাকে। যেখানে ভবনের নামগুলো ইংরেজিতেই থাকে। এতে শিক্ষার্থীদের ভবন খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। এছাড়া যে দিকনির্দেশক চিহ্ন দেওয়া হয়েছে তারা পর্যাপ্ত নয় এবং ছোট হওয়ার কারণে চোখে পড়ার মত না। পরবর্তী পরীক্ষায় বিষয়টির সমাধান আশা করছি।
সিট প্লান উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক বলেন, প্রতি ভবনের সামনে সিট প্লান দেওয়াটা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। ওগুলো কেউ সাধারণত দেখেও না। এছাড়া ভবনের নাম না থাকার বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি।
ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘প্রতি বছর ভবনের সামনে সিট প্লান সংবলিত ব্যানার দেওয়া হয় এবং পর্যাপ্ত দিক-নির্দেশক চিহ্ন দেওয়া হয়। একজন ভর্তিচ্ছু প্রধান ফটক থেকে শুরু করে সব জায়গায় চিহ্ন দেখেই যেন পৌঁছতে পারেন। এটার জন্য বাজেট বরাদ্দও থাকে। কিন্তু কেন এগুলা করা হয়নি আমার বোধগম্য নয়।’
সারাবাংলা/একে