Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মেয়াদোত্তীর্ণ’ চবি শিক্ষক সমিতির সংবর্ধনা আয়োজন নিয়ে বিতর্ক

সারাবাংলা ডেস্ক
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিদায়ী ও নবাগত শিক্ষকদের সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নির্বাচনি জোটের ব্যানারে চবি শিক্ষকদের দুটি সংগঠনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে।

প্রতিবাদী শিক্ষকরা ‘শিক্ষক সমিতিকে’ মেয়াদোত্তীর্ণ দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশের (হলুদ দল) আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবীত প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইনের সই করা এ যৌথ বিজ্ঞপ্তি এসেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সম্মাননা ও নবাগত শিক্ষকদের সংবর্ধনার আয়োজন করে।

এর প্রতিবাদে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান শিক্ষক সমিতি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৭ তারিখ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে। আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে গত ২৫ এপ্রিল অগ্রিম ভোট পর্যন্ত গ্রহণ হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে শিক্ষক সমিতি নতুন শিক্ষকদের বরণ করা এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান করার জন্য একদিন সময় ম্যানেজ করতে পারেনি। তাই নির্বাচনের একদিন আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আড়াই মাস পর এভাবে তড়িঘড়ি করে অনুষ্ঠান করা শিক্ষক সমিতির এখতিয়ার বহির্ভূত এবং অত্যন্ত অশোভন।

‘আমরা শিক্ষক সমিতির এ অশোভন কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। অনেক বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে বিদায়বেলায় একটু সম্মানজনকভাবে বিদায় নেয়ার ও সম্মাননা পাওয়ার অধিকার সকল শিক্ষকের আছে। কিন্তু এভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর বিতর্কিতভাবে বিদায়ী শিক্ষকদের সম্মাননা দেয়ার আয়োজন তাঁদেরকে রীতিমতো অসম্মান করার সামিল।’

জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষকদের একটা অংশ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আজকের প্রোগ্রাম বর্জন করানোর চেষ্টা করেছে। যেসব ব্যক্তি এটা করেছেন, তারা বিগত প্রশাসনের পক্ষে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রমে ছিল। তাদের কারণে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অনেক নিয়োগ হয়েছে। এখন তারাই শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে চায়। তাদের দাবি আমরা নাকি নির্বাচনের আগে শিক্ষকদের সংবর্ধনা দিয়ে আমরা শিক্ষকদেরকে অসম্মান করছি। যদি শিক্ষকদের প্রতি আপনাদের এতই সম্মানবোধ থাকে, তবে আপনাদের এমন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হটকারিতা।’

সারাবাংলা/আরডি/ইআ

চবি শিক্ষক সমিতি বিতর্ক সংবর্ধনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর