‘কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু’
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১০
ঢাকা: বর্তমানে দেশে এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী কোরবানির ঈদে দেশে কোনো গবাদি পশুর সংকট হবে না। কারণ চাহিদার চেয়ে ৩০ লাখ পশু বেশি রয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গতবছর প্রস্তুত ছিল এক কোটি ২৫ লাখ গবাদি পশু। এর মধ্যে অবিক্রিত থেকে যায় ১৯ লাখ। এবার কোরবানির সময় এক কোটি ৩০ লাখের বেশি গবাদিপশুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উৎসবের দিন সামনে আসছে। এই সময়ে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ও মতলববাজরা পুরো ব্যাপারটা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আগামী কোরবানি ঈদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। গবাদিপশুর কোনো ঘাটতি নেই।’
আব্দুর রহমান বলেন, ‘মধ্যস্বত্বভোগীদের যে বাড়াবাড়ি থাকে সে বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। গবাদিপশুর বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে, দাম যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়গুলো নিয়ে প্রস্তুতিমূলকভাবে খামারি ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের (খামারি) আশ্বস্ত করেছি, গবাদিপশু আমদানি করার কোনো কারণ নেই। গরু আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। দেশের খামারি ভাইয়েরা গবাদিপশু উৎপাদন করেন। আমাদের মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেও হয়, সেটিই যথেষ্ট। কোনো অপ্রতুলতা নেই। আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা সবই ঠিক আছে।’
কোরবানির পশুর গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময় মধ্যস্বত্বভোগী ও বিশেষ শ্রেণির মানুষ সুযোগ নেয়। যে কারণে অনেক সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। কোরবানির আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ঠিক করব, যেন এ জায়গাটি সঠিকভাবে অ্যাড্রেস করা যায়। যেন পথে পথে ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম