Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘হিট অফিসারের পরামর্শে রিকশা চালকদের বোতল-স্যালাইন দেওয়া হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১১

ঢাকা: চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় রিকশা চালকেদের মাঝে ছাতা, হাফ লিটারের একটি পানির বোতল ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমি রিকশা চালকদের এক লিটারের পানির বোতল দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চিফ হিট অফিসার বললেন, রিকশা চালকদের হাফ লিটারের পানির বোতল দিলে স্যালাইন পরিমাপ করতে সুবিধা হবে। তাই তার পরামর্শে আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় রিকশা চালকদের মাঝে হাফ লিটারের পানির বোতল বিতরণ করছি।’

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হল রুমে ই-ট্রাকার (শহরের জিরো ডোজ শিশু, আন্ডার ইমিউনাইজড এবং মিসড কমিউনিটির শিশুদের খুঁজে বের করে টিকা প্রদান) কার্যক্রমের উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার ৩৫ হাজার রিকশা চালকদের বিনামূল্যে ১টি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন ও একটি হাফ লিটার পানির কন্টেইনার দেওয়া হবে। আমরা গতকালই এ কার্যক্রম শুরু করেছি।’

স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানোর কাজটি চলমান থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী এবং শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি খেতে পারে।’


ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস লার্ভা নির্মূলের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্কে সচেতন নই। এডিস মশার লার্ভা জন্মায় পরিষ্কার পানিতে। এডিস মশার প্রজননরোধে আমাদের প্রয়োজন জনসচেতনতার প্রচারণা। জনসচেতনতা তৈরিতে বিশ্ব ব্যাংক, ইউনিসেফ ও ডাবলুএইচওকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানাই।’

উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান এবং ‘Smart Health BD’ অ্যাপের মাধ্যমে ই-ট্র্যাকার প্রবর্তনে সাফল্যজনক অগ্রগতি সাধন করেছে বলে জানান মেয়র।

এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন টিকাদান কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সহযোগিতায় অক্টোবর ২০২৩ থেকে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম এবং জানুয়ারি ২০২৪ থেকে জিআইএস-বেজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলি রিপোর্টিং সফলভাবে চলছে।

এছাড়াও ইউনিসেফের সহযোগিতায় ডিএনসিসি ২০১৮ সাল থেকে কর্মজীবি মায়ের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ সাল থেকে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করছে। ২০২২ সাল থেকে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছে যাদের মাধ্যমে ১৭০টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে ৭৯ হাজার ৫৩২টি শিশু ও ২০২৪ সালে ৩৯ হাজার ৫৯১টি শিশু টিকাদান সেবা নিয়েছেন।

ডিএনসিসি ১ লাখ ২০ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ই-ট্র্যাকার এ ৮২ হাজার (৭০%) শিশু রেজিস্ট্রার করা হয়েছে।

এছাড়া ২০২৩ সালে ১ হাজার ৯৩৬টি জিরো ডোজ ও ১১ হাজার ১৭০টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত এবং ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ৮১টি জিরো ডোজ ও ৮ হাজার ৫১১টি আংশিক টিকা প্রাপ্ত শিশু খুঁজে বের করা হয়েছে ও টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভাসমান জনগোষ্ঠী ও বেদেসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠিকে খুঁজে বের করে টিকা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই ও এমআইএস বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং আরও কিছু এনজিও।

সারাবাংলা/আরএফ/এমও

চিফ হিট অফিসার টপ নিউজ ডিএনসিসি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মো. আতিকুল ইসলাম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর