Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৩০

ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্ততকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে, তাদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন একটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। একটি মামলার নথিতে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

২০১৯ সালের শেষের দিকে আবির্ভূত হওয়া কোভিড-১৯ ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভ্যাকসিন তৈরিতে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষকদল অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে কাজ করেছে। সাধারণত একটি ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী হিসেবে বাজারজাতের আগে দীর্ঘ কয়েক বছর বিভিন্ন ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যায় । কিন্তু করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে এত দীর্ঘ সময় হাতে ছিল না।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহণ করে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার স্বীকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কয়েকজন। এ নিয়ে কয়েকটি মামলা হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে। মামলায় আইনজীবী যুক্তি দিয়েছেন, ভ্যাকসিন একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে যা অল্প সংখ্যক পরিবারের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার করে কয়েকজন ব্যক্তি মারা গেছেন। কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন।

এমন প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালে। এ নিয়ে গত বছর মামলা দায়ের হয়। দুই সন্তানের বাবা জেমি স্কট ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তপাত হওয়ার কারণে স্থায়ী মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছেন। এতে তিনি আর কাজ করতে পারছেন না।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা শুরু থেকেই এই দাবির বিরোধিতা করেছে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে জমা দেওয়া একটি আইনি নথিতে কোম্পানিটি স্বীকার করেছে, তাদের কোভিড ভ্যাকসিন খুব বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস সিন্ড্রম ঘটাতে পারে।

টিটিএস-এর অর্থ হলো অর্থ থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোম। টিটিএস সিন্ড্রোমে মানুষের রক্ত জমাট বাঁধে এবং রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা কমে যায়।

টিটিএস আক্রান্ত অন্তত ৫১টি জন উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন। ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

সারাবাংলা/আইই

অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাস টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর