উপাচার্যকে গ্রেফতারের দাবি কুবি শিক্ষকদের, সব কার্যক্রম বন্ধ
৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১৯
কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেকিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ সময় ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও দেওয়া হয়।
শিক্ষকদের হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মানববন্ধনও করবেন শিক্ষকরা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা শেষে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শিক্ষকদের কেউ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে কোনো ধরনের কার্যক্রমে সহযোগিতা করবেন না। শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা ও আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না- সেজন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে।’
অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের আরও বলেন, ‘যারা শিক্ষকদের উপর হামলা করেছেন, তাদের সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেওয়া হবে। শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন করব। তবে গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।’
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘হামলাকারীদের ও সন্ত্রাসী উপাচার্যককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি আমরা।’
উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও ছাত্রলীগের সাবেক ১৭ জন নেতাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত রোববার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু তাহের বাদী হয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এতে বিবাদী হিসেবে রয়েছেন— উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন— আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই-এলাহী, মাসুদ আলম, ইকবাল হোসাইন খান, পার্থ সরকার, বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইমরান হোসাইন, মুশফিকুর রহমান খান তানিম, রকিবুল হাসান রকি, মেহেদী হৃদয়, ফয়সাল হাসান, এম নুর উদ্দিন হোসাইন, অনুপম দাস বাঁধন, আরিফুল হাসান খান বাপ্পী, ইমাম হোসাইন মাসুম, রাকিব ও দ্বীপ চৌধুরী।
ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা প্রশাসনের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস লতা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাদেক হোসেন মজুমদার অভিযোগটি দায়ের করছেন। এতে সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা, শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান, সহকারী প্রক্টর মো. জাহিদ হাসান ও মো. মোশারফ হোসাইন।
সারাবাংলা/এনএস