দাবি আদায়ের দিন মে দিবস: রওশন এরশাদ
১ মে ২০২৪ ১১:০৬
ঢাকা: বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের দিন পহেলা মে। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ঐতিহাসিক গৌরবময় দিন আজ। বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সংগ্রাম ও অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত দিন।
বুধবার (১ মে) আন্তর্জাতিক মে দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেওয়া এই বাণীতে রওশন এরশাদ আরও বলেন, ‘ইতিহাসের পাতায় মে দিবস উজ্জ্বল হয়ে থাকলেও শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের লড়াই এখনও চলছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি ঐক্যের দিনও বটে। দেশের সব শ্রমজীবী মানুষ তাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার মাধ্যমে উন্নয়নমুখী বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ ঘোষণার দিন পহেলা মে।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বিজয়ের নিশান হিসেবে দিবসটি উদযাপিত হয়। কখনো আন্দোলন, কখনো উৎসবের মধ্যদিয়ে মে দিবস পালিত হয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই শ্রমিকরা তাদের পূর্বের অবস্থানে চলে যায়। বছর যায় বছর ঘুরে, দিবসটি উদযাপিত হয় কিন্তু শ্রমিকরা থেকে যায় তাদের প্রবঞ্চনাময় অতীতের ইতিহাসে।’
তিনি বলেন, ‘মে দিবসের পথ ধরেই শ্রমিকদের নানা অধিকার অর্জিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শ্রমের মর্যাদা। বিশ্বব্যাপী ট্রেড ইউনিয়নগুলো শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর শ্রমিক শ্রেণির দুর্দশা ঘোচেনি। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। শ্রমিকের অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত হলেও, তা মানা হচ্ছে না।’
মে দিবসে শ্রমজীবী মানুষের মানবেতর জীবনের অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার এবং শ্রমের মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। মে দিবস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ভবিষ্যতে সব ন্যায্য দাবি আদায়ের মাধ্যমে শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ।
এদিকে একই ধরনের অপর এক বার্তায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনূর রশীদ বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে তাদের পাশে থেকে সকল দাবি আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখা একটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম কাজ। আর এই কাজটি যদি সঠিকভাবে করা সম্ভব হয়, তবে স্বাথর্ক হবে মে দিবসের মর্যাদা।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস