যশোর-চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি
১ মে ২০২৪ ১৭:৩০
যশোর ও চুয়াডাঙ্গা: বৈশাখের শুরু থেকেই যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতিতীব্র তাপমাত্রা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (১ মে) এই দুই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি। যা আজকের দিনের জন্য দেশের সর্বোচ্চ।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ এপ্রিলের পর থেকে এই দুই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১/৪২ ডিগ্রিতে অবস্থান করছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। টানা প্রায় এক মাস এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। আর এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে. সারাবাংলার যশোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, অতিতীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শহরে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাস্তায় চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সড়ক ঠান্ডা রাখতে গত কয়েকদিন ধরে দিনের বেলায় পানি স্প্রে করছে যশোর পৌরসভা।
পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহরের পিচঢালা রাস্তাগুলো ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত পানি স্প্রে করার পাশাপাশি শহরের চারটি স্থানে পথচারীদের পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, তাপপ্রবাহে জনজীবনে স্থবিরতা নামলেও কৃষকরা ব্যস্ত রয়েছে মাঠ থেকে ধান কেটে ঘরে তোলায়। মাঠের প্রায় অর্ধেক ধান কাটা হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে মে’র প্রথম সপ্তাহ থেকেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেজন্য চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের কপালে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, গতকাল পর্যন্ত যশোর জেলায় ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। ধানের কিছু ভ্যারাইটি যেমন ২৯ এবং কিছু হাইব্রিড ধান দেরিতে রোপন করা হয়েছিল। এসব ধান তুলতে আরও ১৫ দিন লেগে যাবে।
উপপরিচালক বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি শুরুর আগেই বেশিরভাগ ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ৮০ ভাগ পাকলেই ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেক স্থানে হারভেস্টর দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেক স্থানে বিকেলের পর থেকে রাত পর্যন্ত ধান কাটা হচ্ছে।’
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় এক লাখ ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।
সারাবাংলা/পিটিএম