শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লড়াইকে বেগবান করতে হবে
১ মে ২০২৪ ১৮:০৮
ঢাকা: বর্তমান রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থাকে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা। আর শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে তারা বলেছেন, এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লড়াইকে বেগবান করতে হবে।
বুধবার (১ মে) মহান মে দিবস ও অন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মানস নন্দীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক ভজন বিশ্বাসের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বাসদ (মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক মাসুদ রানাসহ অন্যান্য নেতারা।
সমাবেশে তারা বলেন, এদেশে শ্রমিকদের বাঁচার মতো ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হয় না। ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার, ছুটি, বোনাস নিশ্চিত করা হয়নি। শ্রমিকদের অতিরিক্ত শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু ওভারটাইমের ন্যায্য পাওনা দেওয়া হয় না। নেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপদ কর্মপরিবেশ। শ্রম আইনে যতটুকু শ্রমিক অধিকার ছিল, তাও একের পর এক হরণ করা হচ্ছে। অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল পাশের মাধ্যমে ধর্মঘটের মতো গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অপচেষ্টা চলছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও স্বল্প মজুরির কারণে শ্রমিকদের জীবন আজ দিশেহারা।
নেতারা বলেন, ১৮৮৬ সালে শ্রমিকের ৮ ঘণ্টা কাজের যে দাবিতে আন্দোলনে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল, সেই অধিকার আজও বাস্তবায়িত হয়নি। অনেকের জীবন ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই মে দিবস আজ শ্রমিক শ্রেণির শোষণমুক্তির লড়াইকে উজ্জীবিত করার দিনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই দিবসের সত্যিকার লড়াইয়ের ইতিহাস শাসকশ্রেণি কিছুতেই সামনে আনতে চায় না। মালিকদের স্বার্থে শোষণের চাকাকে সচল রাখতে এই রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিনিয়ত শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
সমাবেশের শুরুতে মে দিবসের শহিদদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সমাবেশ শেষে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুন-প্লাকার্ডে সজ্জিত একটি মিছিল প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম