তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবি: দেশে পৌঁছাল ৮ বাংলাদেশির মরদেহ
২ মে ২০২৪ ১৪:০৮
ঢাকা: ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণকারী আট বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন- তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবি: ৮ মরদেহ দেশে ফিরছে দুপুরে
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্য রাত সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জনের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আটজন, সিরিয়ার পাঁচজন, মিসরের তিনজন ও নৌকাচালক রয়েছেন।
ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জনই বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা পাঁচজন মাদারীপুরের ও তিনজন গোপালগঞ্জের।’
ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুইজন ব্রাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের অভিযোগ, ওই আট বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে আশা করছি।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় গত ১৯ এপ্রিল নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী একটি মামলা করেন। মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ