Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কুবিতে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কুবি করেসপন্ডেন্ট
২ মে ২০২৪ ২০:১১

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: সারাবাংলা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান হিমু ও লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস লতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন, বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা ও সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ড. সাদেকুজ্জামান তনু, সহকারী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সাথী রানী কুন্ডু, সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ, সহকারী অধ্যাপক নাইমুল হুদা, সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজওয়ানা আফরিন রুম্পাসহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুপুর ১টায় পৃথক মানববন্ধন আয়োজন করে। সেখানে ওই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাহিদুল ইসলামসহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য প্রদান করেন।

শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুবি লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: সারাবাংলা

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিজবুল্লাহ আরেফিন তাজবী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমন একটি জায়গায় কীভাবে একজন শিক্ষক আরেক শিক্ষকের ওপর হামলা চালান! এ রকম অমানবিক কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।

ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাদেকুজ্জামান বলেন, এই প্রশাসনের নৈতিক স্খলন হয়েছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে একজন উপাচার্য যেভাবে মুর্শেদ রায়হান হিমুকে পেছন থেকে আঘাত করেছেন, তা মধ্যযুগের বর্বরতাকে ছাড়িয়ে গেছে। উপাচার্যসহ যারা শিক্ষকদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। উপাচার্যকে দ্রুত পদ থেকে অপসারণ করে সংকট সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও হত্যা মামলার আসামিদের প্রবেশের বন্ধের দাবি জানিয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আফরাজ আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজের দফতরকে চিড়িয়াখানা বানিয়ে ফেলেছেন। চাকরিপ্রার্থী, হত্যা মামলার আসামি, অছাত্র, বহিরাগত দিয়ে তার দফতর ভরপুর। শিক্ষার্থীদের সংকটের বিষয়ে উনার বিন্দুমাত্র নজর নেই। হলে নাকি বিশাল অঙ্কের টাকা ও অস্ত্র যাচ্ছে! একজন উপাচার্যের কাছে এমন আজগুবি কথা কখনো প্রত্যাশিত নয়। উনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন।

লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকের ওপর উপাচার্যের হাত তোলার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। একজন উপাচার্য হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছেন। গায়ে হাত তোলার মতো নোংরা ও বর্বর কাজ তিনি করেছেন। তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে? আপনি এখানে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আপনি অবাঞ্ছিত। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে আর চায় না।

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতি বাধা দেয়। তখন ছাত্রলীগ, শিক্ষক ও উপাচার্যের ত্রিমুখী ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান হিমু ও লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌসসহ বেশ কিছু শিক্ষক আঘাতপ্রাপ্ত হন।

সারাবাংলা/টিআর

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মানববন্ধন শিক্ষকদের ওপর হামলা হামলার প্রতিবাদ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর