২০ বিঘা জমির পান ও কলা আগুনে পুড়ে ছাই
৩ মে ২০২৪ ০১:১১
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের দুয়ারপাড়ার মাঠে ২০ বিঘা জমির পান বরজ ও কলাবাগান আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে।
বুধবার (১ মে) রাত আগুন লাগলে আলমডাঙ্গা ও পাশের ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের কর্মীরা প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলের পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে জানা যায়। কৃষি কার্যালয় ধারণা করছে, আগুনে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দোয়ারপাড়ার মাঠজুড়ে পান বরজসহ বিভিন্ন ফসল রয়েছে। গত রাতে (বুধবার রাত) হঠাৎ করে একটি পানের বরজে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পাশের কয়েকটি পান বরজে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে আসতেই প্রায় ২০ বিঘা জমির পান বরজ ও কলার বাগান আগুনে পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে লিফাজউদ্দিনের দুই বিঘা, রফিকুলের ১০ কাঠা, রাহুলের এক বিঘা, খাজা মিয়ার ১০ কাঠা, মানোয়ারের ১০ কাঠা, আলী হোসেনের ১০ কাঠা, জয়বদ্দিনের ১০ কাঠা, ঝন্টু মিয়ার এক বিঘা, শীলু মিয়ার ১৫ কাঠা, রবিউলের ১৫ কাঠা, ডাবু মিয়ার এক বিঘা, বকুলের ১৫ কাঠা, রইছের এক বিঘা, জোরাপের ১০ কাঠা, হারুনের ১০ কাঠা, পাপ্পু আলীর ১০ কাঠা, সুজনের ১০ কাঠা, মধু মন্ডলের ১০ কাঠা, আদমের ১০ কাঠা, বাবুলের ১০ কাঠা, মুনিয়ারের ৫ কাঠা, ফরিদের ১০ কাঠা, কদমের ১০ কাঠা, জমির আলীর ১০ কাঠা, বাচ্চু মিয়ার ১০ কাঠাসহ মোট ২৬ জন কৃষকের প্রায় ২০ বিঘা জমি ভস্মীভূত হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই প্রায় ২০ বিঘা জমির ফসল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভীন বলেন, তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২৬ থেকে ২৭ জন কৃষকের পানের বরজে আগুন লেগে ১৬ থেকে ১৭ বিঘা জমির পান বরজ ও কলার বাগান পুড়ে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা পাওয়া গেলে তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
সারাবাংলা/টিআর