তুমি করবে আর আমরা বলতে পারব না— যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে কাদের
৫ মে ২০২৪ ১৫:৫৪
ঢাকা: মানবাধিকার ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশে যে দৃষ্টিতে দেখে, সে দৃষ্টিতেই নিজ দেশে তাকাতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তুমি আমার মানবাধিকার, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করবে। আর এখন তোমার মানবাধিকার নিয়ে আমরা বলতে পারব না?’
রোববার (৫ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে এমন কিছু আমাদের জানা নেই। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাত করবো কেন? আমরা সত্যি বললে, যদি সেটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগে সেখানে আমাদের বলার কিছু নেই। আজ একটা সিনারিও ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এপিক সেন্টার ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটিগুলোয় যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদ হয়েছে। আজকে ৬৮ সালের পুনরাবৃত্তি, এখনও এপিক সেন্টার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।’
‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিয়ত গান ভায়োলেন্স, ম্যাস শুটিং, ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় গণহত্যা নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তা দমন করা হচ্ছে অত্যন্ত নির্দয়ভাবে। ২ হাজার ৫০০ জন গ্রেফতার হয়েছে। আর আমাদের দেশে বিরোধী দল যখন অগ্নিসন্ত্রাস করে, পুলিশের উপর হামলা করে, পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর চালায়, সাংবাদিকের উপর আক্রমণ করে তখন যুক্তরাষ্ট্র কথা বলে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশে মানবাধিকার যে দৃষ্টিতে দেখবে তাদের দেশে সেভাবে দেখবে না কেন?’, বলেন ওবায়দুল কাদের।
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে আওয়ামী লীগ প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করছে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তবে অন্য দলগুলো চাইলে নিজেদের দলীয় প্রতীকেও নির্বাচন করতে পারে।’
এ সময় বিএনপি’র প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা আব্বাসরা দলীয় প্রতীকে কেন নির্বাচনে এলেন না? আমাদের তো কোনো আপত্তি নেই। আমরা দলীয় প্রতীক দিইনি, নতুন কৌশলে জাতীয় নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনও প্রতীক ছাড়া করতে চেয়েছি।’
এসময় ওয়ান ইলেভেনে আটক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা আজমসহ আমরা জেলে একসঙ্গে ছিলাম। ওয়ান ইলেভেনের অস্বাভাবিক সরকারের লক্ষ্য ছিল একটা বিরাজনীতিকরণ। এর সঙ্গে চোর হয়ে যাওয়ার সম্পর্ক আছে, এটা মনে করি না। রাজনীতিবিদদের ধরা হয়েছে বিরাজনীতি করণের জন্য। মাইনাস টু ফর্মুলাও হয়েছিল রাজনীতিবীদদের টার্গেট করার জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সারাবাংলা/এনআর/এমও