Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘চালু হতে পারে বন্ধ থাকা ৭টি বিমানবন্দর’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ মে ২০২৪ ১০:৩৩

ঢাকা: জাতীয় সংসদে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত ও এয়ারলাইন্সের আগ্রহের সাপেক্ষে দেশে বন্ধ থাকা ৭টি বিমানবন্দর চালুর সিদ্ধান্ত হতে পারে। বর্তমানে দেশে অভ্যন্তরীণ, আন্তর্জাতিক ও স্টল বিমানবন্দরের সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্য ৮টি বিমানবন্দর চালু রয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্বে অধিবেশনে মন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে দেশে ৩টি আন্তর্জাতিক, ৭টি অভ্যন্তরীণ ও ৫টি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৩টি এবং ৫টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। বাকি ৭টি বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জানান, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলোর চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইন্সগুলোর আগ্রহের প্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালু করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

সরকারি দলের সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, ‘বিমানবন্দরের যাত্রীসেবার মানন্নোয়ন, যাত্রী হয়রানি বন্ধ এবং সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সেবা দেওয়া সব সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স নিয়মিত সভা করে থাকা। এ বিষয়ে পাক্ষিক কম্পিয়েন্স রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ, এ বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গমনকারী এবং বিদেশ হতে আসা সাধারণ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বিমানবন্দরের ৩টি পজিশন হতে সম্পাদন করা হয়ে থাকে। ভিআইপি যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পৃথক জায়গা হতে করা হয়।’

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, ‘ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ২৬টি ই-গেইট রয়েছে। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের জন্য অপেক্ষমান যাত্রী সাধারণের আধিক্য ও চাপের বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটর করে তা বিভিন্ন বুথের মধ্যে সমন্বয় করা হয়।’

এছাড়া, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সহজকরা ও গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য যাত্রী সাধারণের সাথে সৌন্দর্য্যমূলক আচারণের বিষয়ে বেবিচক ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

বিমানবন্দর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর