সুন্দরবনে আগুন: যেখানে ধোঁয়া সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে
৬ মে ২০২৪ ১২:১৪
বাগেরহাট: বাগেরহাটের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগা স্থানের কোথাও ধোঁয়া দেখা গেলে পানি দেওয়া হচ্ছে। ফের আগুন লাগার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তৃতীয় দিনের মতো সোমবার (৬ মে) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে এ কাজ। অগ্নিকাণ্ডের এলাকা সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি ছিটানো শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড। বনের লতিফের ছিলা ও ড্রেনের ছিলার মাঝামাঝি এলাকায় আগুন লাগার বিষয়টি গত শনিবার নজরের আসার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বন বিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি), টাইগার টিমসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও বনজীবীরা।
তবে ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস দূরে হওয়াতে এবং দুর্গম পথের কারণে প্রথম দিনে সেখানে পানি ছিটানো সম্ভব হয়নি।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘গত রাত ১টা পর্যন্ত বন বিভাগ এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে। এর ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বন বিভাগকে সহায়তা করছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই দিন ধরে এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য রোববার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হচ্ছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, শুধু কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।’
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, ‘সোমবার ভোর ৬টা থেকে পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। পূর্ণ শক্তি দিয়ে পানি দেওয়ার কাজ চলছে। সে কারণে আগুন আর বাড়তে পারেনি। আশা করছি আজকের মাঝে আমরা এটা ফলাফল পাব।’
প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, অগ্নিকাণ্ডে সুন্দরবনের ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত রিপোর্ট শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
সারাবাংলা/এমও