Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন আমান উল্লাহ আমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ মে ২০২৪ ১৫:৫১

আদালতে আমান উল্লাহ আমান, ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ১ মাসের মধ্যে তাকে দেশে ফিরতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

গত ২০ মার্চ এ মামলায় আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। তবে বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে বলে শর্ত দেন আদালত।

ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি শুরু করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে ২৪ মার্চ তিনি জামিনে কারামুক্ত হন।

এরপর ২৮ মার্চ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত ৩০ এপ্রিল আমানউল্লাহ আমান চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

২০২৩ সালের ৩০ মে দুর্নীতির মামলায় আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের দণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের রায় প্রকাশের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন আদালত।

আপিলের পুনঃশুনানির পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এরপর ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রকাশ হয়।

এরপর রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ক্যানসারের রোগী বিবেচনায় তাকে জামিন দেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন।

এরপর গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আমান উল্লাহ আমান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে ১২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন আমান উল্লাহ আমান। একই সঙ্গে আপিলে জামিন আবেদনও করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুনীর্তি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।

পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে আমান উল্লাহ আমান আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন। পরে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এরপর হাইকোর্ট বিভাগে এ আপিলের পুনঃ শুনানি হয়।

এরপর ২০২৩ সালের ৩০ মে হাইকোর্ট বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের দণ্ড বহাল রাখেন। পাশাপাশি বিচারিক আদালত হাইকোর্টের রায় গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

আমানউল্লাহ আমান উচ্চ আদালত চিকিৎসা টপ নিউজ বিএনপি বিদেশ হাইকোর্ট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সালমান শাহ্‌ স্মরণে মিলাদ মাহফিল
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩

নাফ নদীর মোহনায় ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯

সম্পর্কিত খবর