লোডশেডিং শূন্যে নেমে এসেছে— বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
৬ মে ২০২৪ ১৮:০৯
ঢাকা: তীব্র তাপপ্রবাহে যে লোডশেডিং গ্রামাঞ্চলে ছিল তা শূন্যে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় দেশের কোথাও কোথাও লোডশেড করতে হয়েছিল। সে পরিস্থিতি এখন নেই।
সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক স্থানে। এটা গত এক মাস ধরে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। এ ছাড়া, তেলের স্বল্পতা ছিল। আবার আর্থিক স্বল্পতাও ছিল। এ সব বিষয় নজরদারিতে নিয়ে আমরা এখন একটা ভালো পজিশনে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘এ সব বিষয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে সার্বিকভাবে। বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। গ্রামাঞ্চলে যত দ্রুত পারা যায় তার ব্যবস্থা নিতে তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা নিয়েছি, এখন আমরা ভালো অবস্থায় আছি।’
গ্রামের লোডশেডিং কমাতে শহরে বাড়বে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেড করে আরেক স্থানে দিতে হবে। আমি মনে করি, আগের চেয়ে অবস্থা অনেক ভালো। আমরা ভালো অবস্থায় আছি।’
গ্রামে লোডশেড কমে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘লোডশেড আস্তে আস্তে কমে আসছে। আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হচ্ছে। তেল স্বল্পতার কারণে বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল। কারণ, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা তেল আনতে পারছিলেন না। সে সমস্যা কেটে যাচ্ছে। যে কারণে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডে ছিল। এখন কমে ৫০০ মেগাওয়াটে এলো। এখন একদম জিরোর দিকে। আশা করছি একদম কমে আসবে। আমরা চেষ্টা করছি নিজেদের বিপিসি থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটির ব্যবস্থা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের অধিকার আছে সংসদে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার। তারা নিজ নিজ এলাকার সমস্যা তুলে ধরেছেন। সেগুলো প্রকাশ করেছেন। বিদ্যুৎ খাতে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় করা শুরু করেছে। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড, আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও রয়েছে। এবার গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এটার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের যতটুকু প্রস্তুতি ছিল সে পর্যন্ত আমরা দিয়েছি। তার ওপরে আমরা যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের হাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘মুশকিল হলো অর্থ আর তেলের সংস্থান দুইটাকেই সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে যে সময় লেগেছে। সে সময়ে আমাদের বেশ কিছু এলাকায় বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে লোডশেড করতে হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি অনেক ভালো।’
প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা মন্ত্রিসভায় ছিল কি না? এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তিনি সবসময় নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। লোডশেড করা যাবে না। সবকিছুকে লোডশেড মুক্ত রাখতে হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম