আইটি খাতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চায় টিম সাকসেস
৬ মে ২০২৪ ১৯:৫৬
ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চেয়েছেন বেসিস নির্বাচনে টিম সাকসেসের আহ্বায়ক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। রোববার (৫ মে) হোটেল শেরাটনে এক অনুষ্ঠানে এই দাবি জানান তিনি। এ সময় বেসিসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাস কবীরসহ প্যানেলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর ও উদীয়মান তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বাঁচাতে হলে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি নিশ্চিত করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সবচেয়ে মজবুত সহযোগী হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় ২০১১ সাল থেকে ২৭টি ডিজিটাল সেবা খাতে কর অব্যাহতি দেওয়ার ফলে তথ্যপ্রযুক্তি খাত এখন দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৩ বছর ধরে চলা এসব ডিজিটাল সেবা খাতে সরকারের কর অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর চাপের কারণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। তাদের কথা বলে আইটি খাতকে ধুম্রজালের মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে আমি নিজেই আইএমএফ’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অবকাশের ব্যাপারে তারা পরোক্ষভাবে কোনো মতামত দেয়নি। এ ছাড়া বিষয়টিকে সুস্পষ্ট করতে আমরা শিগগির আইএমএফ ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠক করতে চাই।’
গার্টনারের রেফারেন্স দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসা হয় পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার। এ খাতের বৈশ্বিক অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশেও দ্রুত গতিতে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবসার প্রসার ঘটছে। এখন এই গতি থামিয়ে দিলে আমরা আন্তর্জাতিক দৌড়ে পিছিয়ে যাব। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত হচ্ছে সোনার ডিম দেওয়া হাঁস। কর অব্যাহতি বন্ধ করে দিলে চার/পাঁচশত কোটি টাকা পাবে সরকার। কিন্তু এর ফলে সোনার ডিম দেওয়া হাঁস মারা যাবে। আর সোনার ডিম দেওয়া হাঁস মারা গেলে এ দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত মারা যাবে।’
গার্মেন্টস শিল্পের উত্থানের কথা উল্লেখ করে ডিউক বলেন, ‘এখন যেমন গার্মেন্টস শিল্প দাঁড়িয়ে গেছে। তবে তাদের কর্মীদের বেতন তেমন উল্লেখযোগ্যহারে না বাড়লেও আইটি খাতের বেতন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হয়ে থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দিলে এ খাতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। তাদের মাসে গড় বেতন ৫০,০০০ টাকা হলে (২০ লাখ ধরলেও) ১,২০,০০০ হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর বেতন হবে। সে বেতনের ২৫% ট্যাক্স ৩০ হাজার কোটি টাকা এনবিআর-এর তহবিলে জমা হলে এ দেশের অর্থনীতির অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা কি অনুমেয় নয়? সামগ্রিক বিবেচনায় আগামী দিনেও তথ্যপ্রযুক্তি খাত আরেকটি গার্মেন্টস শিল্পের বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আইটি খাতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি নিশ্চিত করতে হবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম