রিটার্নিং কর্মকর্তার সইয়ের জন্য সাংবাদিকদের ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা
৮ মে ২০২৪ ০০:৩১
রাঙ্গামাটি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন রাঙ্গামাটির সাংবাদিকরা। কেবল রিটার্নিং কর্মকর্তার সইয়ের জন্যই তাদের চার ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা রাঙ্গামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার কার্ডগুলোতে সই করেন।
নির্বাচনের আগের দিন মঙ্গলবার (৭ মে) ঘটে এ ঘটনা। এ দিন সংবাদ সংগ্রহের ওই কার্ডের জন্য বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষমান ছিলেন সাংবাদিকরা।
এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে সাংবাদিক চৌধুরী হারুনুর রশিদ বলেন, কয়েকদিন আগে এসে যাবতীয় কাগজপত্র দেওয়া হয়েছিল সংগঠনের পক্ষ থেকে। আজ (মঙ্গলবার) পাস নিতে এসে কারও কাগজপত্রই পাচ্ছি না। শেষ পর্যন্ত কাগজপত্র খুঁজে পেলেও সাংবাদিক পাস কার্ড ও গাড়ির পাস কার্ডে সইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪ ঘণ্টা। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরী বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার এমন আচরণ খুবই দুঃখজনক। একটি সইয়ের জন্য এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করাও এক ধরনের ভোগান্তি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
রাঙ্গামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এম কামাল উদ্দিন বলেন, একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন অপেশাদার আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।
সাংবাদিকরা জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় সাংবাদিকদের। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের শরণাপন্ন হন। তাকে ঘটনাটি জানানো হলে তিনি বলেন, ‘একটু ধৈর্য ধরেন, আমি নির্বাচন কর্মকর্তাকে এখনই জানাচ্ছি।’
এরপর রাত ৮টার দিকে নিজের অফিসকক্ষে না গেলেও নির্বাচন অফিসের নিচতলায় গিয়ে পাস কার্ডে সই দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাঙ্গামাটি সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেন।
সারাবাংলা/টিআর