সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধে কোর্টের রায় বাস্তবায়নের নোটিশ
৮ মে ২০২৪ ১৪:২১
ঢাকা: সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটির চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য সাত দিনের সময় দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) ডাকযোগে যশোর, খুলনা, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বাগেরহাটের পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজিকে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে সাত দিন সময় দিয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সড়ক ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৪ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।
শুনানি শেষে আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে যশোর, খুলনা, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বাগেরহাট জেলার সড়ক মহাসড়কে নছিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে আদালতের রায়ের নির্দেশনা ভঙ্গ করে যারা রাস্তায় নছিমন, করিমন ও ভটভটি পরিচালনা করবে তাদের বিরুদ্ধে মোটরযান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও রায়ে প্রতি তিন মাস পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে হলফনামা আকারে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং মামলাটি চলমান রাখেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়- মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি পরিচালনা করা হচ্ছে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনায় মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এইচআরপিবির প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ আজ ডাকযোগে পুলিশ সুপার যশোর, খুলনা, ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বাগেরহাট সহ হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ওই নোটিশে বলা হয়, নির্দেশনা থাকলেও আদালতের আদেশ অমান্য করে সড়কে নসিমন, করিম ও ভটভটি চলার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এবং মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রায় বাস্তবায়নে নিষ্ক্রিয়তা দায়ী।
নোটিশে সাত দিন সময় দিয়ে নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে এবং তাদের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে আদালতে লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিলের অনুরোধ করা হয়েছে। না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস