Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রংপুরে উপজেলা নির্বাচন: ভোটার উপস্থিতি ও আগ্রহ দুটোই কম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৮ মে ২০২৪ ১৯:৪০

রংপুর: কোনো ধরনের সংঘাত ও সহিংসতা ছাড়াই শেষ হলো রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। এদিন ভোটার উপস্থিতি ও আগ্রহ দুটোই কম লক্ষ্য করা গেছে। তবে পীরগাছায় ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।

দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে কেন্দ্রেই সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। তবে দুপুরের পর থেকে বেড়েছে ভোটার উপস্থিতি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য বৃহৎ রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে ভোট নিয়ে যেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি, তেমনি ভোটারদের মধ্যে তেমন একটা সাড়া ছিল না।

বিজ্ঞাপন

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় বুধবার সকাল ৮টা থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। রংপুরের এই দুই উপজেলায় তিনটি পদে ২৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২১ জনই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ-পদবিতে রয়েছেন। ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও কর্মী-সমর্থকদের সরব থাকতে দেখা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অনেকটাই সুনসান নীরবতায় হয়েছে ভোটগ্রহণ। এর পর চলে ভোটগণনা।

 

রংপুরের পীরগাছায় তাম্বুলপুর ইউনিয়নে সোনারায় কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে নওয়াব আলী নামে এক বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পরিবার। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, ওই ব্যক্তি কেন্দ্রের বাইরে মারা গেছেন। এটি কেন্দ্রের বাইরের ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে দলটির নেতারা নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তবে এই দুই উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগ।

কাউনিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও আইনজীবী হুমায়ুন কবির খান মুকুল। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত মায়া ও রাজ্জাকের মধ্যে। গতবারের নির্বাচনের দু’জনের সম্পর্ক ভালো থাকলেও এবার তারা ভোটের মাঠে একে অপরের কঠিন প্রতিপক্ষ।

এ ছাড়াও, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহমুদুল হাসান পিন্টু, মনজুদার রহমান মিলন, সুশান্ত সরকার, শফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির ও গনেশ কুমার চন্দ্র শর্মা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সেলিনা খাতুন, রওশন আরা, রাবেয়া বেগম ও আঙ্গুরা খাতুন। কাউনিয়া উপজেলায় ২ হিজড়াসহ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৩ জন। নির্বাচনে শতভাগ বিজয়ী হবেন এমনটাই প্রত্যাশা দুই প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম এবং আব্দুর রাজ্জাকের।

অন্যদিকে, আরেক উপজেলা পীরগাছায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ। আর জাতীয় পার্টি থেকে অংশ নিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু নাসের মো. মাহবুবার রহমান। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন শাহ মো. শারেখ খন্দকার জয়, জাফর ইকবাল, আব্দুর রহিম ও ফরহাদ হোসেন অনু।

এ ছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- রেহেনা বেগম, শারমিন আখতার, জরিনা বেগম, তানজিলা আফরোজ, ইশরাত জাহান সুইটি এবং মাহমুদা খাতুন। এই উপজেলায় তিন হিজড়াসহ ২ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৮ জন ভোটার রয়েছেন।

সারাবাংলা/পিটিএম

আগ্রহ উপজেলা নির্বাচন কম ভোটার উপস্থিতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর