ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে সাইবার অপরাধ ততই বাড়ছে: পলক
৯ মে ২০২৪ ১৯:৪৬
ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে সাইবার জগতে অপরাধ প্রবণতা এবং ঝুঁকি ততই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে সাইবার জগতে অপরাধ প্রবণতা এবং ঝুঁকি তই বাড়ছে। ২০০৮ সালের আগে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটার বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু করার আগে আমাদের আর্থিক লেনদেন অথবা সরকারি সেবা বলতে গেলে এমন কোনো কার্যক্রম ছিল না যার ফলে সাইবার ঝুঁকিটাও কম ছিল। যত দ্রুত আমরা ডিজিটাইজেশন করেছি তত বেশি তথ্য-উপাত্তের সুরক্ষা প্রয়োজনীয় হয়ে দেখা দিয়েছে। যার ফলে আমরা ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংসদে পাস করেছিলাম।’
পরে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনের তাগিদে এখন নতুন আইন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। তারই আলোকে আমরা চারটি মূল স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছি। প্রথমত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল রয়েছে। সেইখান থেকে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অন্যান্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। দ্বিতীয় আমাদের যে ফরেনসিক ল্যাব সেখানেও কাজ হচ্ছে। কোনো অপরাধ যদি সংগঠিত হয় তাহলে সেই অপরাধকে চিহ্নিত করা, অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করা এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ যাচাই বাছাই করার জন্য সেই ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব কাজ করছে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাইবার রেসপন্স টিম, কাউন্টার টেরোরিজম এবং ইনটেলিজেন্স এজেন্সিসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। এরইমধ্যে আমরা ২৩ হাজার জুয়ার সাইট, পর্নোগ্রাফি সাইট, এই ধরনের অপরাধমুলক কার্যক্রমে যে প্লাটফর্মগুলো যুক্ত ছিলো সেগুলোকে আমরা ব্লক করেছি। প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা আমাদের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে ফলে আমরা অনেক অপরাধ প্রতিরোধ করতে পারছি। কিন্তু এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৩৩৩ কল স্টোর আছে। সেখানে আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ করব কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন হলে কিংবা কোনো উপদেশ প্রয়োজন হলে বা অভিযোগ জানাতে হলে তারা করতে পারেন। ৯৯৯ আছে সেখানেও অভিযোগ করতে পারেন।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে
জুনাইদ পলক ডিজিটাল বাংলাদেশ পলক সাইবার অপরাধ সাইবার নিরাপত্তা