Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাকিতে মাছ কিনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ মে ২০২৪ ২১:৪১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরী থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ভোরে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দু’জন হলেন- আল আমিন নোমান (৩৯) ও কাউছার আহমেদ সাগর (৩৫)।

পুলিশ জানায়, সদরঘাট এলাকায় এন এন ফিশ প্রতিষ্ঠানের মালিক ইসমাইল হোসেন মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাছ কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন। নোমান ও সাগর কমিশনে তার ব্যবসার দেখাশোনা করতেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত থেকে আট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার মাছ কেনেন ইসমাইল। এরপর তিনি গা ঢাকা দেন।

পরে ব্যবসায়ীরা নোমান ও সাগরের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারাও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ওই মাসেই ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে সদরঘাট থানায় অভিযোগ দেন এক ব্যবসায়ী।

সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস জাহান সারাবাংলাকে বলেন, ‘মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাছ কিনে টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগে নোমান ও সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি ইসমাইল হোসেন পলাতক। তিনি দেশের বাইরে আছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। গ্রেফতার অভিযুক্তরা ইসমাইলের প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন এবং তার নিকটাত্মীয়।’

সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইসমাইল প্রথমে এক হাতে ব্যবসা পরিচালনা করলেও পরে সেটা তার শ্যালক নয়ন ও ভাগনে সাগরকে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়। মাছ ব্যবসায়ীরা তাদেরকেই চিনতেন বেশি। ইসমাইল শুধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে তারা একসঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিন কোটি টাকার মাছ বাকিতে কেনেন। এর পর চেকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কিছু টাকা দিলেও পরে ইসমাইল বিদেশে পালিয়ে যায়। সে এখন দুবাই আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা ইমিগ্রেশনের আবেদন করেছি।’

কর্ণফুলী মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আবু ইউছুফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রায় ব্যবসা বাকিতে হয়। কিন্তু ১০-১৫ দিনের ভেতর টাকা লেনদেন হয়ে যায়। ইসমাইল আমাদের সঙ্গে প্রায় তিন বছর ধরে ব্যবসা করে। আগেও সে টাকা বাকি রাখত। অনেক ঝামেলা করতো।’

তিনি বলেন, ‘জানুয়ারির শেষে ও ফেব্রুয়ারিতে তিনি অনেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার মাছ কেনে। এর পর আমাদের টাকা না দিয়েই ভারতে চিকিৎসার জন্য চলে যায়। সেখান থেকে এসে দুয়েকজনকে অল্প টাকা দিয়ে দুবাই পালিয়ে যায়। আমি নিজেও পাঁচ লাখ টাকা পাই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা সব ব্যবসায়ীরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

অর্থ আত্মসাৎ গ্রেফতার মাছ

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর