রাজশাহী: রাজশাহীর আম ১৫ মে থেকে বাজারে পাওয়া যাবে। এ সময় শুধু গুটি আম পাওয়া যাবে। তবে ২৫ মের পর থেকে গোপালভোগসহ অন্যান্য আম।
পর্যায়ক্রমে রাণীপছন্দ, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি আসবে। এরপর ১০ জুলাই আশ্বিনা ও ২০ আগস্ট গৌরমতি দিয়ে শেষ হবে আমের মৌসুম।।
রাজশাহী জেলা প্রশাসন থেকে আম বাজারজাতের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আম পরিবহণ বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এ তারিখ নির্ধারণ করেন। তিনি সভায় সভাপতিত্বও করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। বাজারে যাতে অপরিপক্ব এবং ভেজাল মিশ্রিত কোনো আম বিক্রি করতে না পারে, সেজন্যেই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এ ফল পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী গাছে সকল ধরনের গুটি জাতীয় আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এর আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় গুটি জাতের আঁটির আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এছাড়া ২৫ মে থেকে গোপালভোগ, রাণীপছন্দ ও লক্ষণভোগ, ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, গৌড়মতি জাতের আম ১৫ জুলাই, ইলামতি ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক এবং ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর আম সংগ্রহ করা যাবে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আরএমপি‘র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাজশাহীর প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা উম্মে ছালমাসহ অনান্যরা।