Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পটুয়াখালীর ডিসিকে হাইকোর্টে তলব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ মে ২০২৪ ২১:২৭

ঢাকা: জমির খাজনা সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে উচ্চ আদালতের দেওয়া আদেশ প্রতিপালন না করায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নূর কুতুবুল আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আাগমী ২৭ মে তাকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রায় ও ডিক্রি অনুযায়ী জমির খ তফসিল ও ১/১ খতিয়ান থেকে অবমুক্ত করে খাজনা গ্রহণের বিষয়ে দরখাস্তকারী প্রীতম মুখার্জিসহ অন্যান্যদের আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য উচ্চ আদালতের দেওয়া আদেশ প্রতিপালন না করায় ডিসি নূর কুতুবুল আলমকে তলব করা হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী পীরজাদা সৈয়দ আবু হানিফা ইবনে জামাল মো. আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এম. এম. জি সারোয়ার (পায়েল)।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী সদরের চরজৈনকাঠী মৌজায় (খ) তফসিলভুক্ত ২১.৭৪ একর জমি ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২১ নভেম্বর ডিক্রির সই করা হয়। রায় ও ডিক্রির নথিপত্র দিয়ে জমাখারিজ করার জন্য ভূমি অফিসে গেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জানান, ডিসির অনুমোদন ছাড়া জমা খারিজ খতিয়ান খুলতে পারবেন না। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ পটুয়াখালীর ডিসি বরাবর অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়। তাতে জেলা প্রশাসক সাড়া না দেওয়ায় আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া একই ধরনের আরও একটি আবেদন করা হয়, যেখানে জমির পরিমাণ (১/১ খতিয়ান ভুক্ত) ১.৬৪ একর। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি ডিক্রির সই করা হয়। রায় ও ডিক্রির নথিপত্র দিয়ে জমা খারিজ করার জন্য ভূমি অফিসে গেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা একই পরামর্শ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ১৫ মে পটুয়াখালীর ডিসি বরাবর অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়।

ওই আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে গড়িমসি করলে পিটিশনার প্রীতম মুখার্জী ও অন্যান্যরা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ডিসিকে ৬০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি রুল জারি করেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে গত ৮ মে জেলা প্রশাসকের কাছে আদেশের বিষয়টি অবগত করে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক একটি ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, পরে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে। তাতে আদালত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

ওই আদেশ প্রতিপালন না করে গড়িমসি করায় ডিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।

আজ আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে ডিসিকে তলবের পাশাপাশি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

ডিসি তলব পটুয়াখালী হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর