পোশাকখাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমছে
১৪ মে ২০২৪ ২২:১৬
ঢাকা : নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতারে তৈরি পোষাকখাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। ১৯৯০ সালের দিকে এ খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা মোট শ্রমিকের ৮০ শতাংশ হলেও বর্তমানে তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব)- এর উদ্যোগে ‘Strengthening coverage of women RMG workers শীর্ষক এক অংশগ্রহণমূলক কর্মশালায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
রাজধানীর বারিধারায় অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় পোশাকশিল্পে নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা এবং কীভাবে গার্মেন্টস শিল্পের নারী শ্রমিকদের জীবন-ঘনিষ্ঠ কাহিনী গণমাধ্যমে উঠে আসতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় বলা হয়, সি-ক্যাব আরও ১৪টি সহযোগী সংস্থার সঙ্গে এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে একযোগে নারী গার্মেন্টস কর্মীদের জীবন উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। নারীরাও পুরুষদের মতই সমানভাবে প্রযুক্তি ও পরিচালনা বিষয়ক কাজে অংশ নিতে পারে। এ বিষয়ে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগকেন্দ্রিক বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক কাজের মাধ্যমে নারী গার্মেন্টস শ্রমিক, তাদের পরিবার, এবং কমিউনিটিতে সচেতনতা তৈরিতে সি-ক্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক এবং কর্মশালার মডারেটর সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, ‘সাধারণত গার্মেন্টস সেক্টরের যেসব খবর আমরা পত্রিকায় দেখতে পাই- তাদের অধিকাংশই মজুরি আন্দোলন, রফতানি আয় এবং দুর্ঘটনা সম্পর্কিত। নারী পোশাকর্মীদের জীবনের গল্প, তাদের সংগ্রাম, বর্তমান ডিজিটাল যুগে চাকুরী নিয়ে অনিশ্চয়তা, এবং কিভাবে তারা এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়াতে পারেন- এই বিষয়গুলো সাধারণত পত্রিকায় আসে না।’
সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ সি-ক্যাব পরিচালিত গবেষণালদ্ধ প্রতিবেদনের আলোকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি তৈরি পোশাকশিল্প নিয়ে মিডিয়া যেভাবে প্রতিবেদন তৈরি করছে, তাতে কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ১৫ জন সাংবাদিক কর্মশালায় এই অংশগ্রহণ করেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে এই বিষয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা নারী পোশাককর্মীদের নিরাপত্তা এবং মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার ব্যাপারে জোর দেন। সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) গবেষণা এবং কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।
সারাবাংলা/জিএস/একে