Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রীকে খালেদার আইনি নোটিশ


২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:৫২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগ তুলে শেষ পযর্ন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনি নোটিশ পাঠালেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রধানমন্ত্রীর কার‌্যালয় বরাবর এ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানাতে বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার‌্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে  আইনি নোটিশটি পড়ে শোনান তিনি।

গত ০৭ ডিসেম্বর বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদেশি কয়েকটি মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি জানান, ‘খালেদা জিয়া ও তাঁর সন্তানরা সৌদি আরবে আল আরাফা শপিংমল ও কাতারে বাণিজ্যিক ভবন তিনারাট–এ বিনিয়োগ করেছেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো কাতারে ইকরা ভবনের মালিক।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে ৮ ডিসেম্বর গুলশান কার‌্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে এ জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যথায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন তিনি।

এর ১২ দিনের মাথায় বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার দায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বিজ্ঞাপন

আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়া তিন বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির চেয়ারপারসন। তাঁর প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।’

‘গত ৭ ডিসেম্বর গণভবনে মিডিয়া ব্রিফিংকালে আপনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা এবং বিদ্বেষপরায়ণ বিবৃতি দিয়েছেন। আপনি বলেছেন, সৌদি আরবে খালেদা জিয়া একটি শপিংমলের মালিক এবং সেখানে তাঁর বিপুল সম্পদ রয়েছে। তিনি মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গেও জড়িত।’

আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্রদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সাজানো, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিদ্বেষমূলক। খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আপনার এই মিথ্যা অভিযোগ তাঁর প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি ও তাঁকে হাস্যকর করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’

‘খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আপনার এই অপবাদমূলক দীর্ঘ বিবৃতি পরিকল্পিতভাবে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য।  এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণী লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে, যার জন্য আইনত আপনি দায়ি।’

‘উক্ত আইনি নোটিশের মাধ্যমে আপনাকে ৩০ দিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নিমিত্তে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের ওপর নির্দেশ রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর শাহিদা রফিক, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর