আমরা আশাবাদী— কর অব্যাহতি বহাল থাকবে
১৬ মে ২০২৪ ২১:৫৩
রাসেল টি আহমেদ। সদ্যই দেশের সফটওয়্যার খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসে (বেসিস) টানা দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও নানা দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেছেন টিম ক্রিয়েটিভ ও ক্লাসটিউনের এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। বেসিস সভাপতি হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর নবনির্বাচিত কমিটিকে নিয়ে পূর্ণোদ্যমে কাজ করার প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, সরকার, শিল্প খাত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে কাজ করবেন।
সারাবাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ জানিয়েছেন এসব কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার চিফ নিউজ এডিটর রহমান মুস্তাফিজ ও সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট এমদাদুল হক তুহিন। ছবি তুলেছেন ফটো করেসপন্ডেন্ট সুমিত আহমেদ
সারাবাংলা: দ্বিতীয়বার বেসিসের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন। কোন বিষয়গুলোকে আগামী দুই বছর দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন?
রাসেল টি আহমেদ: বেসিস সদস্যরা আমার ও আমার টিমের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছেন। তাদের ধন্যবাদ। তবে বেসিস ও আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন বা আজকের অবস্থার কথা যদি বলতে হয়, তাহলে বেসিসের সেই সূচনালগ্ন থেকে শুরু করতে হবে। বেসিসের আজকের যে শক্ত অবস্থান, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি থেকে আজ আমি পর্যন্ত যতজন সভাপতি হয়েছেন সেই অবস্থানের পেছনে তাদের সবাই অবদান রেখেছেন। একইসঙ্গে প্রতিটি ইসি কমিটিতে বিভিন্ন সময়ে যেসব সদস্য ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরও অবদান রয়েছে। আজকের অবস্থানের পেছনে রয়েছে বেসিসের সব সদস্যদের অবদান। ১৮ জন সদস্য নিয়ে যে বেসিসের জন্ম হয়েছিল, সেই বেসিস আজ দুই হাজার ৪০০ জনের বিশাল পরিবার। আপনিও (সারাবাংলা, বেসিসের অ্যাফিলিয়েট মেম্বার) সেই পরিবারের অংশ। এটি একটি চলমান যাত্রা। সেই যাত্রায় গত মেয়াদে আমি বেসিসের সভাপতি ছিলাম, এবারও বেসিস সদস্যরা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন।
বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বেসিসকে দুটি মূল বিষয়ে অবদান রাখতে হবে। ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করা ও বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সদস্যদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও সক্ষমতা উন্নয়নে কাজ করা। ‘এভরি মেম্বারস ম্যাটারস’ স্লোগান নিয়ে আমরা কাজ করছি। গত দুই বছরে ভালো কিছু কাজ করেছি। এই সময়ে বেসিসের পতাকাকে আরও ওপরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আমাদের হয়েছে। এর প্রমাণ— এই মেয়াদে বেসিসের সদস্য সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ শতাংশ, যা রেকর্ড। এবারের রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থীও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বেসিস বড় হয়েছে বলেই কিন্তু ৩৩ জন প্রার্থী তথা সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বেসিসকে এগিয়ে নেওয়ার স্বেচ্ছাসেবাটি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যোগ্যতা বা প্রতিশ্রুতির জায়গা দেখে হয়তো সদস্যরা ১১ জনকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এ রকম একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে এই ৩৩ জন প্রার্থীর অবদান সমান।
যে নীতিমালার কথা বলছিলাম, কোনো নীতিমালাই একদিনে হয় না। আমরা যখন প্রণোদনা পেয়েছি, সেটিও তিনটি বোর্ডের বিভিন্ন প্রয়াসের ফসল। বেসিস সদস্যদের এগিয়ে নিতে সে রকম কার্যকর নীতিমালা নিয়ে কাজ করব। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন— এই জায়গাগুলোতে বেশকিছু কাজ আমরা করে রেখেছি। সেগুলোকে সামনে নিয়ে যাওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করাই হবে আমাদের এবারের মূল লক্ষ্য। ‘এভরি মেম্বারস ম্যাটার্সে’র জায়গায় এবার আমাদের কাছে ম্যাটার করছে, প্রতিটি সদস্য প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা যেন বাংলাদেশের জিডিপিতে আরও বেশি অবদান রাখতে পারি।
সারাবাংলা: সামনে বাজেট। ৩০ জুন আইসিটি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কর অব্যাহতি অব্যাহত রাখার জন্য আগামী কয়েকদিনে আপনাদের ভূমিকা কী হবে?
রাসেল টি আহমেদ: আগামী কয়েকদিন নয়, আপনারা দেখবেন— ১১ মে দায়িত্ব নেওয়ার পরদিন ১২ মে তারিখেই কিন্তু আমরা অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। নির্বাচন চলাকালে যে প্রচারের সময় ছিল, এক মাস বা তার একটু বেশি, সেই সময়টিতেও কিন্তু আমি বেসিস সভাপতি হিসেবে নির্বাচনি প্রচারের পাশাপাশি নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নিয়েছি। কর অব্যহতি বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় হোক, এনবিআর হোক, বাংলাদেশ ব্যাংক হোক— সবার সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে গেছি। গত এক বছর ধরেই কর অব্যাহতি নিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে আসছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকার নেবে।
আইএমএফর একটি প্রেসক্রিপশন আছে। তবে সরকারের বিভিন্ন নীতি নির্ধারকদের আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, এনবিআরের একটি অঙ্কের ঝামেলা রয়েছে। সেই অঙ্কটিকে আমরা ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই করের বোঝা যদি চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটি বেসিস সদস্যদের ব্যবসায় যতটা না প্রভাব ফেলবে, তার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে। স্থানীয় বাজারে খরচ বাড়বে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে, মানবসম্পদের খরচ বাড়বে— সবকিছু মিলিয়ে একটি বড় প্রভাব পড়বে।
আমরা মনে করি, এই করটিকে এভাবে চিন্তা করতে হবে— এটি আইসিটি ইন্ড্রাস্টিতে নয়, আইসিটি ইন্ড্রাস্ট্রিতে কর্মরত আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠানের ওপরও নয়— এটি বাংলাদেশের পুরো অর্থনীতি ও সব খাতের ওপর প্রভাব ফেলবে। এটি আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। অল্প কিছুদিন পরেই বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। আমাদের আলোচনা চলমান। আমরা বিশ্বাস করি, এই আলোচনাটি সরকার ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে। আমি এখনো আশাবাদী, আমরা ভালো ফলাফলই পাব।
সারাবাংলা: সরকারের রাজস্ব বাড়াতে গিয়ে অনেকরই ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলবে…
রাসেল টি আহমেদ: খেয়াল করে দেখবেন, আমরা যদি বেসিসের জন্ম থেকে ২৫-২৬ বছর কথা বলি, এই খাতটি কিন্তু বড় হতে শুরু করেছে ২০০৯ সাল থেকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দেওয়ার পর। তারপর থেকে এই খাতের প্রতি সবার আগ্রহ বেড়েছে, এই খাতের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ইন্ড্রাস্ট্রি টেক অফ করেছে, এখন ফ্লাই করার সময়। এই সময়ে যেন চাপ দেওয়া না হয়। ব্যাংক কিন্তু আইসিটি খাতে অর্থায়ন করে না। আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে মেধা এবং সেটি তরুণ ও মেধাবীদের মেধা। এই মেধাস্বত্বকে মূল্যায়ন করার মাধ্যমেও যদি আমাদের অর্থায়ন করা হয়, তখন আমরা অনেক ভালো করতে পারব। মেধার যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়। আমরা ফ্লাই করছি, আমরা যেন ভালোভাবে উড়তে পারি, দেশের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে পারি, সেই জায়গাটিতেই আমাদের কাজ করতে হবে।
সারাবাংলা: আইসিটিতে দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে আপনার নতুন কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না?
রাসেল টি আহমেদ: দক্ষ বা প্রশিক্ষিত জনসম্পদ বাড়ানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পাঠ্যক্রম উন্নয়নের জায়গায় কাজ করতে হবে। প্রচলিত পদ্ধতি থেকে বের হতে হবে। জাইকার সঙ্গে আমাদের একটি প্রকল্প আছে। জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাবনা আমরা দেখেছি। একটি ইউনিভার্সিটি এভাবে ভাবে যে ইন্ড্রাস্ট্রির জন্য কাকে লাগবে, তার জন্য তারা পাঠ্যক্রম তৈরি করে। তারা এটা নিয়ে গবেষণা করে। সেই জিনিসগুলো নিয়ে বারবার বসতে হবে।
‘ইন্ড্রাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন’ এখন একটি ক্লিশে শব্দ। কিন্তু এটাকে কার্যকর করতে হবে। আমাদের নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। একজন তরুণ শিক্ষামন্ত্রী এসেছেন। তার সঙ্গেও আমরা বসব, যেন এই কোলাবোরেশনটা নিবিড় করা যায়। আমি ইতিবাচক মানুষ, সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। আমার বিশ্বাস, আইসিটিতে এখনকার প্রজন্ম অনেক বেশি ইতিবাচক। সুতরাং ভালো কিছুই আমরা প্রত্যাশা করতে পারি।
সারাবাংলা: দেশের আইসিটি খাতের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিভ্রাট রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক ডাটা পেতে কোনো জরিপ করার পরিকল্পনা আপনাদের রয়েছে কি না?
রাসেল টি আহমেদ: দেখুন, কিছু বিষয়ের সঠিক তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। যেমন— রফতানি আয়। যেহেতু আইসিটি খাতের রফতানি আয়ে প্রণোদনা দেওয়া হয় এবং সেই প্রণোদনা বেসিসের মাধ্যমেই প্রক্রিয়াকরণ করা হয়, ফলে রফতানির সব তথ্যই আমরা জানি, আমাদের সদস্যরা কত রফতানি করছেন, কী করছেন— সবই জানা। যদি স্থানয়ী বাজারের আকার নিয়ে বলতে হয়, বিগত সফটএক্সপোতে আমি একটি ফর্মুলার কথা বলেছিলাম— ৩ বাই ৩ ফর্মুলা। সেটি হচ্ছে— গভর্নমেন্ট, ইন্ড্রাস্ট্রি ও একাডেমিয়া। তিনজনকে একত্রিত হয়ে তিনটি কাজ করতে হবে। এক নম্বর কাজটিই হচ্ছে গবেষণা। ইন্ড্রাস্ট্রি এখন কোথায় আছে, কোথায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ও সম্ভাবনাকে ধরতে গেলে কী কী করতে হবে— এগুলো গবেষণা করেই বের করতে হবে।
সারাবাংলা: সম্ভাবনার ক্ষেত্রে তো পাঁচ বিলিয়ন ডলারের একটি স্বপ্ন রয়েছে।
রাসেল টি আহমেদ: আরও বেশি হতে পারে। ২০ বিলিয়ন ডলারও হতে পারে। তবে শুধু স্বপ্ন দেখালে হবে না। করণীয় কী, সেটা বুঝতে হবে। করণীয় তিনটি— তিনজন মিলে তিনটি কাজ করবে। আমাদেরকে গবেষণা করতে হবে, আমাদেরকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে, আমাদেরকে দক্ষ জনসম্পদ গড়তে হবে।
সারাবাংলা: প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তি আসছে। আগামী দুই বছরে প্রযুক্তিতে নতুন কী সম্ভবনা দেখছেন? সেই সম্ভাবনাকে ধরতে কী করবেন?
রাসেল টি আহমেদ: নতুন প্রযুক্তি আসছে। আমাদের ইন্ড্রাস্ট্রির চ্যালেঞ্জ রয়েছে— নীতিমালার দিক থেকেই হোক, আর মানবসম্পদের দিক থেকেই হোক। আবার একইসঙ্গে এই ইন্ড্রাস্ট্রির সম্ভাবনাও বিশাল। এই ইন্ড্রাস্ট্রিকে খুব সযত্নে, সংবেদনশীলতার সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। যে কথাটি আমি নির্বাচনের সময়ও আমাদের সদস্যদের বলেছি— এই সংবেদনশীল সময়ে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করাটা বেসিস সদস্যদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আমি খুবই খুশি। কারণ আমাদের এই ১১ জন যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তারা প্রত্যেকেই অনেক বেশি প্রাণবন্ত ও গতিশীল, প্রত্যেকেই অত্যন্ত মেধাবী। সব ধরনের সদস্যদের মিশ্রণ বোর্ডে রয়েছে। প্রত্যেকে যার যার জায়গা থেকে অনন্য যোগ্যতাসম্পন্ন। টিম খুব সুসমন্বিতভাবে কাজ করবে। সম্ভাবনাকে ধরার জন্য ও চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে এই টিমটি আগামী দুই বছরে একটি পথ তৈরি করবে। দুই বছরে তো আর ২০ বছরের সাফল্য লাভ করা যায় না! তবে দুই বছরে যতটুকু করা যায়, তার থেকে বেশি এই ১১ জন মিলে একসঙ্গে করতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি। বেসিস ভোটারদেরও এমন একটি দারুণ টিম দেওয়ার জন্য আরও একবার ধন্যবাদ।
সারাবাংলা: ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে এখনো পেপ্যাল একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হয়…
রাসেল টি আহমেদ: এটি আসলে বড় চ্যালেঞ্জ নয়। ফ্রিল্যান্সাররা যখনই কোম্পানি করছে, তখন তারা বেসিস মেম্বার হচ্ছে। এর বাইরে আমরা চেষ্টা করি ফ্রিল্যান্সারদের যতটুকু সুবিধা দেওয়া যায়। পেপ্যাল ছাড়াও টাকা আসছে। পেওনিয়ার দিয়ে অনেক টাকা আসছে। ব্যাংকিং চ্যানেলেই টাকা আসছে। পেপ্যাল একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। তাকে তো জোর করে আনা যাবে না। তারা বাংলাদেশে অপারেশন করবে কি করবে না, এটি তাদের সিদ্ধান্ত। আর আমরা এমন একটি জাতি, কোনো চ্যালেঞ্জ যাদের আটকাতে পারে না।
সারাবাংলা: ইনক্লুসিভ বেসিসের কথা বলছেন। আপনার ৩৩ জন নির্বাচন করলেন, ভোটাররা ১১ জনকে বেছে নিয়েছে। বাকি ২২ জনকে আপনারা আপনাদের কাজের সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত করবেন?
রাসেল টি আহমেদ: সময় কথা বলবে। আমরা খুব পজিটিভ আছি। প্রথম বোর্ড মিটিংয়েই কিছু সিদ্ধান্ত হবে। বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ আছে। শুধু ২২ জন কেন, ২২ জনের বাইরেও তো অনেকেই আছে। ২২ জনের বাইরে তো পরবর্তী নেতৃত্বও আছে। সবাইকেই আমরা যতটুকু সম্ভব, যার যারা জায়গা থেকে কাজ করব। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা একটি এসওপি দাঁড় করাব। আমরা ১১ জন ইনফরমাল আলাপ করেছি, ফরমাল আলাপ করব। নির্বাচনের সময় মানুষ কিছু কথা বলে, নির্বাচনের স্বার্থে বলে, এগুলো আমরা জানি। এখন নির্বাচন শেষ, আমরা সবাই এক। আমি কিন্তু ৩৩ জনের সভাপতি না, কিংবা আমি যে কয়টি ভোট পেয়েছি শুধু তাদের সভাপতি না, নির্বাচিত ১১ জন কিন্তু প্রায় দেড় হাজার ভোটার ও দুই হাজার ৪০০ বেসিস সদস্যের প্রতিনিধি। এখানে কোনো ভিন্নতা নেই। সবাই মিলেই একটি দল হয়ে কাজ করব এবং বেসিসের স্বার্থে কাজ করব।
সারাবাংলা: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
রাসেল টি আহমেদ: সারাবাংলাকেও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সারাবংলার পাঠক ও দর্শকদের।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর
আইসিটি খাত কর অব্যাহতি তথ্যপ্রযুক্তি খাত ফ্রিল্যান্সিং বেসিস বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ