Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওসি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা তদন্তের নির্দেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৭ মে ২০২৪ ০৯:৫৮

যশোর: যশোরের কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে আটকে রেখে চাঁদা দাবি ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগে তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন— কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও আলতাপোল গ্রামের সেলিমুজ্জামান আসাদ।

বুধবার (১৫ মে) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদী কেশবপুর মধ্যকুল গ্রামের নুর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম একজন ঘের ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি মধ্যকুল মৌজায় ২১৪ জন মালিকের কাছ থেকে ৪৫০ বিঘা জমি এক কোটি ৮০ লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেন। সেখানে মাছ চাষ করে আসছেন তিনি। ওই জমির গা ঘেঁষে মফিজুর রহমান মফিজ এক শ কৃষকের কাছ থেকে তাদের জমি লিজ ঘের করার জন্য চুক্তি করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মফিজ ও আসাদ বাদী জাহাঙ্গীরের লিজ নেওয়া জমি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। এ বিষয় নিয়ে বাদী কেশবপুর থানায় জিডি করতে গেলে থানা তা গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ গত ১ মে থানার পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন জোর করে জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে থানায় ওসির রুমে নিয়ে যান। সেখানে ওসি জহির উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও সেলিমুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বাদীর অভিযোগ, ওসি জহির তাকে তার জমি মফিজ ও আসাদের কাছে হস্তান্তর করতে বলেন। ১৫ দিনের মধ্যে মফিজ ও আসাদকে জমি হস্তান্তর না করলে ওসি জহিরকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। রাজি না হলে বিলের মধ্যে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে ক্রসফায়ারের নামে চালিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় তাকে। একপর্যায়ে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

আদালত মামলা তদন্তের নির্দেশ দিলেও আসামিরা সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন। কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিন বলেন, মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি আমার জানা নেই।

কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, ওই ঘটনার সময় আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ওসির রুমে চাঁদা দাবি করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। যেহেতু আমি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে ফাঁসাচ্ছে। মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

সারাবাংলা/টিআর

চাঁদাবাজির মামলা যশোর

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর