Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সবাই মিলে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী: সাঈদ খোকন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ মে ২০২৪ ১৭:৫০

ঢাকা: রাজধানীর কাঁচাবাজারে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও বয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজি ছিল। গরিব-দুঃখী মানুষ তা কিনে খেতে পারতো। এখন সেই বয়লার মুরগি ২২৫ থেকে ২৫০ টাকায় চলে গেল। এটিকে কমানো সম্ভব; যদি কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারি।’

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ‘এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা, স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক এই মিট দ্য প্রেস’ এর আয়োজন করে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।

পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমার সংসদীয় এলাকার থানা-পুলিশ যখন চাঁদাবাজি বন্ধ করতে যায়, তখন চাঁদাবাজরা সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের একটা কাগজ (সিটি টোল) দেখায়। যে তারা বৈধতা নিয়ে এই চাঁদাবাজি করছে। অর্থাৎ সিটি টোলের একটা প্রটেকশন তারা পায়। এ চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারের শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস কম দামে কিনতে পারবেন নগরবাসী।’

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন হচ্ছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, এটি ব্যবসায়িক কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে রাজস্ব আহরণ করে জনগণকে সেবা দিতে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। আর সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা নিশ্চিত করার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। সে কারণে দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় পার্থক্য আছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সিটি টোল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদর্শ কর তফসিলে আছে। আমার সময়ে কিন্তু আমি সিটি টোল আরোপ করিনি। আজকে শহরের বিভিন্ন মোড়ে দেখবেন, লাঠি হাতে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, টেম্পু, বাস, ভ্যানগাড়ি থামিয়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমার সময় কর্তৃত্ব থাকা স্বত্বেও আমি এই কাজটি করিনি, যাতে নাগরিকদের ভোগান্তি না হয়, বিভ্রান্তির মধ্যে না পড়েন, অসহায় হয়ে না পড়েন।’

আগে দক্ষিণ সিটিতে অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমার সময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জনদুর্ভোগ কমানো ছিল আমার মূল দায়িত্ব। মেয়র থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। সিটি করপোরেশনকে চাঁদাবাজি করতে হয়নি।’

আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাঈদ খোকন প্রার্থী হতে ইচ্ছুক কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চান, তা হলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব, ইনশাআল্লাহ।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কেউ কারও প্রতিদ্বন্দী নই। যে কারণে কাজের কোনো ক্ষতি হবে। আমরা চাই, সবাই মিলে কাজ করি। সবাই মিলে আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলা করি। সিটি করপোরেশনের সমস্যাগুলো সমাধান করি। এক হয়ে কাজ করতে আমার কোনো বাধা নেই।’

সারাবাংলা/ইউজে/একে

ডিএসসিসি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ফজলে নূর তাপস সাঈদ খোকন

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর