আবদুল কাদির এবং বেগম সুফিয়া কামালকে স্মরণ
১৯ মে ২০২৪ ১৬:২৩
ঢাকা: রোববার (১৯ মে) সকালে বাংলা একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে কবি ও সাহিত্য সমালোচক আবদুল কাদির এবং কবি, লেখক ও নারী আন্দোলনের পুরোধা বেগম সুফিয়া কামাল স্মরণে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠান আয়োজন করা।
এতে স্বাগত বক্তৃতা দেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। ‘স্মরণ: আবদুল কাদির’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন কবি মাহবুব সাদিক এবং ‘স্মরণ: সুফিয়া কামাল’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
ড. সরকার আমিন বলেন, ‘আবদুল কাদির এবং সুফিয়া কামাল আমাদের সাহিত্যের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁরা আমাদের সাহিত্যকে যেমন তাঁদের কবিতায় সমৃদ্ধ করেছেন তেমনি আমাদের চৈতন্যের জাগরণে রেখেছেন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান।’
কবি মাহবুব সাদিক বলেন, ‘আবদুল কাদির বাংলা কবিতা এবং ছন্দচর্চায় এক বিশিষ্ট নাম। পাশাপাশি বাঙালি মুসলমানের কৃতী মনীষার রচনাসম্ভার অনুসন্ধান ও সংকলনেও তাঁর ভূমিকা ঐতিহাসিক। নজরুল, রোকেয়াসহ বহু বিশিষ্ট লেখকের সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটাতে আবদুল কাদিরের সম্পাদিত রচনাবলি যুগের পর যুগ পালন করেছে প্রধান ভূমিকা।’
কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, ‘সুফিয়া কামাল কবিতার পাশাপাশি গদ্য চর্চা করেছেন। তাঁর ভ্রমণগদ্যের অনুপম নিদর্শন একটি বই ‘সোভিয়েটের দিনগুলি।’ এই ভ্রমণকাহিনিতে তিনি যেমন ১৯৬৭ সালের বাস্তবতায় সোভিয়েত রাশিয়ার সাম্যবাদী-আধুনিক চিত্র তুলে ধরেছেন তেমনি তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধি হিসেবে সোভিয়েতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে গমনের বিড়ম্বনা ও অভিজ্ঞতা অসাধারণ নৈপুণ্যে প্রকাশ করেছেন।’
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আবদুল কাদির এবং সুফিয়া কামাল নানাভাবে আমাদের শিল্পসাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন। তাঁদের স্মরণ করে বাংলা একাডেমি একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা ড. মাহবুবা রহমান।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ