Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটতে স্থিতাবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ মে ২০২৪ ১৬:১৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: যশোর-নড়াইল মহাসড়কে ছয়লেন প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান পর্যন্ত গাছ কাটার ওপরে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১৯ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল এবং সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার এবং সড়ক বিভাগের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম জহিরুল ইসলাম।

সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে— মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে গত ৫ মে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট পিটিশনাররা হলেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও রিপন বাড়ৈই।

রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব; প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদফতরের সাধারণ বিভাগের পরিচালক; ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও পুলিশের আইজিপিকে বিবাদী করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘যশোর-নড়াইল ছয় লেন মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের জন্য কোনো টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। তা সত্ত্বেও মহাসড়কের দুই পাশে শত শত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।’

তিনি আদালতে বলেন, ‘প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের সুরক্ষার প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখা উচিত। গাছ সংরক্ষণ করেও ছয় লেনের সড়কের কাজ করা সম্ভব। তাতে জনগণ উপকৃত হবে।’

শুনানিতে সরকারের পক্ষে দাবি করা হয় যে, গাছ কাটা যাবে না এমন কোনো আইন দেশে নেই। গাছ কাটা বন্ধ হলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হবে।

তার বিপরীতে মোরসেদ বলেন, ‘মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, ২০৩০ সালে দাবদাহের অন্যতম শীর্ষ নগরী হবে ঢাকা। সুতরাং, গাছ সংরক্ষণ করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে জনগণের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হবে না। এমনকি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসারে বেঁচে থাকার অধিকার যা মৌলিক অধিকার তাও বিঘ্নিত হবে।’

শুনানি শেষে যশোর-নড়াইল ছয় লেনের মহাসড়ক নির্মাণে বর্তমানে সড়কের পাশে থাকা গাছ কাটার ওপরে স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

গাছ কাটা টপ নিউজ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর