Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দেশের আর্থিক খাত শূন্যে ঝুলছে, যেকোনো সময় ক্র্যাশল্যান্ডিং’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ মে ২০২৪ ১৬:৫৯

ফাইল ছবি

ঢাকা: ‘দেশের আর্থিক খাত শূন্যে ঝুলছে, যে কোনো সময় এর ভয়ংকর ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে’— এমনটিই আশঙ্কা করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমাবর (২০ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

রিজভী বলেন, ‘অনিয়ম, অপচয়, দুর্নীতি আর মূল্যবৃদ্ধির এই ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যে জনজীবনে যে হতাশা, অশান্তি ও নৈরাজ্য নেমে এসেছে, সেটিকে কার্পেটের নিচে ঢেকে রাখতে চান শেখ হাসিনা। সেজন্য জুলুমের মাত্রাকে তিনি তীব্র করছেন বিক্ষোভ-প্রতিবাদকে স্তব্ধ করার জন্য।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেন ওয়াশিং মেশিন। এর ভেতর দিয়ে ঢুকলে লুটেরা, হরিলুটকারী, টাকা পাচারকারী মহাদুর্নীতিবাজরা সাফসুতর হয়ে যায়।’

রিজভী বলেন, ‘শীর্ষ ব্যবসায়ী কোনো অনুমতি না নিয়ে বিদেশে অর্থ সরিয়ে বিনিয়োগ করছে। নিয়ম-নীতি না মেনে ক্ষমতাঘনিষ্ঠের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে চরম অব্যবস্থাপনা। ঋণখেলাপীর পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, দেশের আর্থিক খাত এখন শূনের মধ্যে ঝুলছে। যে কোনো সময় এর ভয়ংকর ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে।’

‘আর তাই মিথ্যা আর বিভ্রান্তি আওয়ামী নেতাদের সারাক্ষণের নিত্যসঙ্গী। মানুষের মনোযোগকে ধূসর ও বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবিরাম বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ বিরোধী নেতাদের প্রতি রীতি ও শালীনতা উপেক্ষা করে ক্রমাগত বিষোদগার করা হয়। বিরোধী দলের কথা বলা, স্বাধীন মত প্রকাশ করা আওয়ামী নীতিবিরুদ্ধ’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘সারাদেশকে অনতিক্রম্য কাঁটাতারের বেড়ায় ঘিরে রাখার পরও জুলুমের পরিধি বিস্তৃত করা হচ্ছে প্রতিদিন। ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। অপেক্ষাকৃত এই তরুণ নেতার জনপ্রিয়তায় ডামি সরকার মনে করছে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতায় থাকার নিদারুণ ব্যাঘাত ঘটাবে। ইশরাকের সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অস্বস্তিবোধ করছে।

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘ডামি সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা চিরস্থায়ী করতে চাচ্ছে কারাগারকে। তাই প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গতকাল পল্টন থানার একটি মিথ্যা মামলায় জামিন না দিয়ে সরকারের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পেশীশক্তির জোরে চলছে বিরোধীদল দমনের কর্মসূচি। তারপরও টলিয়ে দেওয়া যায় নি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতা-কর্মীরদের দৃঢ় অঙ্গীকার। প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের মতো একজন প্রতিশ্রুতিশীল বিএনপি নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনা বর্তমান সরকারসৃষ্ট নৈরাজ্যের চরম দৃষ্টান্ত। সরকারের চোখ রাঙানীর বিরুদ্ধে সাহসী উচ্চারণ থেকে সরানো যায় না বলেই ইশরাককে কারাবন্দি করা হয়েছে। দখলদার সরকার কন্ঠের স্বাধীনতা সীমায়িত করতে অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও জেগে উঠছে বাংলাদেশ। মানুষের ক্ষোভের আগুনে ফ্যাসিবাদ ছাই হয়ে যাবে।’

রিজভী বলেন ‘আদালতের স্বাধীনতা থাকলে দুর্বল গদবাঁধা সাজানো মামলায় প্রকৌশলী ইশরাকসহ বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতা-কর্মীকে অকারণে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা প্রদান ও আটক রাখতে পারত না। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষরা এখন কারাগারে, আর টেন্ডারবাজ, তদবিরবাজ, ধোকাবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, চাঁদাবাজ ও ঋণখেলাপীদের দৌরাত্ব এখন চরমে।’

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

বিএনপি রিজভী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর