‘নির্বাচনে উপস্থিতির হার থার্টি প্লাস হতে পারে’
২১ মে ২০২৪ ১৯:১০
ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য কোনো সহিংসতা হয়নি। নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে উপস্থিতির হার থার্টি প্লাস হতে পারে। তবে একেবারে নির্ভুর তথ্য আপনারা বুধবার (২২ মে) পাবেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুর আউয়াল এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘যেখানেই অন্যায়-অনাচার হযেছে, ভোট কারচুপির চেষ্টা হয়েছে সেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন ঘটনায় মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু কারচুপির জন্য ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, দুই জন মারা গেছেন। তবে তা ভোটকে কেন্দ্র করে নয়। গরম বা অন্য কোনো কারণে। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসন তৎপর ছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর ছিল। এবার প্রতিটি কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর অধিক সংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল। ফলে নির্বাচনে সহিংসতা ঘটেনি। হাতাহাতির মতো দুয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এতে দুয়েকজন আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা টিভিতে তাকিয়ে থাকি। কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মীও আহত হয়েছেন। সাহস করে যারা ছবি তুলতে গেছেন তারা হয়তো হেনস্তার শিকার হয়েছেন। আমরা সঠিক তথ্য এখনো পাইনি। হাতাহাতিতে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এক বা দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল রাতে একজনের হাত কেটে গেছে।’
প্রথম ধাপে বলেছিলেন ধান কাটা ও বৈরি আবহাওয়ার কারণ ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ। এই ধাপে আরও কম পড়ার কারণ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে ৩০ শতাংশ ভোটকে কখনোই উৎসাহব্যঞ্জক মনে করি না। এর বড় এক কারণ হতে পারে দেশের বড় একটা রাজনৈতিক দল (বিএনপি) প্রকাশ্যে এবং ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। এবং জনগণকে ভোট প্রদানেও নিরুৎসাহিত করেছে। যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের চেষ্টা হতে পারে। পক্ষ-বিপক্ষ থাকতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ভোট নিয়ে কোনো সংকট নেই। সংকটটি হচ্ছে রাজনীতিতে। আমি মনে করি, রাজনীতি যদি আরও সুস্থ ধারায় প্রবাহিত হয়, আগামীতে হয়তো ভোটার সমস্যা কাটিয়ে উঠব।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম