বিএসইসির ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার’ পেল ৮ প্রতিষ্ঠান
২২ মে ২০২৪ ২৩:৫২
ঢাকা: পুঁজিবাজারের সেরা মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান বা ইন্টারমিডিয়ারিজদের পুরস্কৃত করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ২০২৩ সালের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আটটি প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যা রাজধানীর প্যান পাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে পুঁজিবাজারের ইন্টারমিডিয়ারিজদের প্রতিনিধিদের হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরষ্কার তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২৩ তুলে দেওয়া হয়।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী-রুবাইয়াত-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও অর্থ-মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আব্দুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এ সময় বিএসইসির কমিশনার ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, কমিশনার আব্দুল হালিম ও অধ্যাপক ড. রুমানা ইসলামসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
স্টক ব্রোকার ও ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে এ পুরষ্কার দেওয়া হয়। স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকার লিমিটেড, তৃতীয় হয়েছে শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
মার্চেন্ট ব্যাংকার ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। দ্বিতীয় হয়েছে ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেড। তৃতীয় হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড।
সম্পদ ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে একাশিয়া এসআর আইএম লিমিটেড। দ্বিতীয় হয়েছে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারণ, টার্নওভার, ক্লাইন্টস, ডিজিটাল বুথ, শাখা উদ্বোধন, প্রশিক্ষণসহ সব ইতিবাচক সূচকগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর বিএসইসির ৭৯৯তম সভায় এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য হলো- পুঁজিবাজারে কর্মরত বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন, সব কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
পুঁজিবাজারে কর্মরত জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের সেবার মান বাড়ানো এবং দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনাও এই উদ্যোগের একটি লক্ষ্য।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম