Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উম্মোচন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ মে ২০২৪ ১৯:৪৭

ঢাকা: সচিবালয় বিটে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম’ (বিএসআরএফ)-এর প্রকাশনা বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উম্মোচন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উম্মোচন শেষে সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় ডিএফফির তালিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি এরইমধ্যে কাজ করছি। বিষয়টি একটু জটিল। জটিল এই কারণে যে সংখ্যা নির্ণয় করার যে ফলাটা আছে তার মধ্যেও কিছু গলদ আছে, সেটিকেও ম্যানুপুলেট করা যায়।’

‘যদি বলি ফর্মুলা অলরেডি আছে সেটি দিয়ে সঠিক তালিকা করে ফেলব, এরমধ্যেও দেখা যাবে সঠিক হয়ত অনেক কিছু হবে না। কারণ পেছন দিকে ম্যানুপুলেশন সমস্যা। যে কারণে আমি ফর্মুলাটা নিয়ে কাজ করছি, বলেন তিনি।

ডিএফপিতে নতুন ডিজি নিয়োগ দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আরাফাত বলেন, ‘যারা সার্কুলেশনের কাজ করে তাদেরকে নিয়ে আমি বসব। ফর্মুলাকে একটি ফাইনটিউন করে একটি ফর্মুলা আনার যে সত্যিকার অর্থে সার্কুলেট, অর্থাৎ শুধু প্রিন্ট করলে হবে না, বিক্রিত নাম্বারটা আমরা পাওয়ার ফর্মুলা বের করব, যেখানে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ থাকবে না। আমার কাছে আসল লিস্টটা যেন থাকে।’

তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় আমি এক ধরনের স্বচ্ছতা ও অবজেকটিভিটি আনার চেষ্টা করছি। আপনারা সবার সামনে যে বিয়য়টি বলবেন, আমাকে একা পেলেও সেই কথাটিই বলবেন।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘ মন্ত্রণালয় থেকে ক্রোড়পত্র দেই তা কিন্তু ডিএফপির লিস্ট দেখে দিচ্ছি না। আমি কিন্তু একটি লিস্ট বানিয়েছি, বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে। যেটি আমাকে মোটামুটি সঠিক একটি সার্কুলেশনের চিত্র দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি এখন সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘কারা কত ক্রোড়পত্র পেয়েছে তা এক্সেল সিটের মাধ্যমে মেইন্টেইন করি। কাছাকাছি সার্কুলেশনের দুটি পত্রিকার মধ্যে একটি পত্রিকা কম পেলে পরে তা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করি। আমি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৬০-৭০ শতাংশ সিদ্ধান্ত সার্কুলেশনের ওপর ভিত্তি করে নেই। কারণ এখানে সরকারের স্বার্থ আছে, বেশিরভাগ মানুষের হাতে এটি আমি পৌঁছাতে চাই। কিছু পত্রিকা আছে সার্কুলেশনের চ্যালেঞ্জ আছে কিন্তু তার একটি ইতিহাস ঐতিহ্য আছে, কিছু পত্রিকা আছে সার্কুলেশনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেখানে নামকরা সম্পাদক আছে, যার নিজের ইতিহাস-ঐতিহ্য ব্র্যান্ডিং আছে, এগুলোকে যাচাই বাছাই করে ব্যালেন্স করে ক্রোড়পত্র দিয়েছি, কোনো ব্যক্তির সুপারিশে ক্রোড়পত্র দেইনি। সুপারিশ করেছে নিয়েছি, দেখেছি, কিন্তু দিন শেষে আমার যে ফর্মুলা সেটি অ্যাপ্লাই করেছি।’

সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে এ মুহূর্তে আমি বলতে পারব না, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ মুহূর্তে আমি গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি।’

গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে এটি মোটামুটি সবকিছু কাভার করে ফেলবে। কারণ এখানে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মোটামুটি সবকিছুই কাভার করবে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে বলে জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন,‘ শ্রম আইনের অধীনে যত সুরক্ষা দেওয়া আছে সেগুলোকে রেখে বাকি বিষয়গুলো গণমাধ্যমকর্মী আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে বলে জানান আরাফাত।

বিজ্ঞাপন

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)-এর সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব৷ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকাশনা কমিটির সভাপতি ও বিএসআরএফ-এর সহ-সভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), বিএসআরএফ-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিমসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।

সারাবাংলা/জেআর/একে

বিএসআরএফ বিএসআরএফ বার্তা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর