Saturday 12 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ মে ২০২৪ ২০:৫৯ | আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ২১:০৫

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন। শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান অসাধারণ। ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার বিশ্বমানবতার প্রতি কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার স্বীকৃতি; বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মৌলিক দর্শন ও অবদানের মূল্যায়ন। তিনি মনে করতেন, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তা সমগ্র বিশ্বের মানুষের গভীর আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

ড. কামাল চৌধুরী বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শান্তিপূর্ণ দেশ, অঞ্চল ও বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন। তার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু যে মৌলিক ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন, তা সারা পৃথিবীর শান্তি ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে এক অনন্য সম্পদে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির মূল উপজীব্য ছিল ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’; যা আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানুষের জন্য ভালোবাসা ছিল বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ডের প্রেরণা এবং মানুষের কল্যাণই ছিল তার কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য। এই মানবিক মূল্যবোধই তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশ নিতে, যা প্রতিফলিত হয় তার বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে, যেমন গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও সমাজতন্ত্র। তিনি প্রায়ই বলতেন, তার সারা জীবনের স্বপ্ন হচ্ছে ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’। ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি’-তার এই অভিব্যক্তি থেকেই আমরা বুঝতে পারি সমাজ উন্নয়ন সম্পর্কে তার ধারণা কত ব্যাপক এবং বহুমাত্রিক ছিল।

তারা বলেন, বিশ্বশান্তি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের মূলনীতি। তিনি ছিলেন বিশ্বশান্তির অগ্রদূত। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তেরই হোক না কেন, তিনি তাদের সঙ্গে একাত্ম ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

সারাবাংলা/পিটিএম

জুলিও কুরি পদক বঙ্গবন্ধু সম্প্রীতি বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন

দেশের বাইরে ‘বরবাদ’
১২ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২০

ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক আটক
১২ এপ্রিল ২০২৫ ২১:০৪

আরো

সম্পর্কিত খবর